জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হতে চলেছে বিশ্বমানের জলপাইগুড়ি, 13 মার্চ: বিশ্বমানের ছোঁয়া লাগছে জলপাইগুড়ি টাউন রেলস্টেশনে। আগামিদিনে ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh) মধ্যে রেল যোগাযোগ ও স্টপেজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এই স্টেশনটি। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি 1 নম্বর ঘুমটিতে রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের সমস্যারও সমাধান হতে চলেছে। অমৃত ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে 20 কোটি ব্যয় করে বিশ্বমানের রেলওয়ে স্টেশন বানানো হবে জলপাইগুড়ি টাউনকে। ভারত বাংলাদেশের চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ইতিমধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করছে। ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি টাউন খুব গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। নতুন করে স্টেশন বিল্ডিং তৈরি হবে জলপাইগুড়ি টাউনে ৷
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শুভেন্দু কুমার চৌধুরী জানান, ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টেশন হবে জলপাইগুড়ি। টাউন স্টেশনে পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, "জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই রেলওয়ে স্টেশনের আমূল পরিবর্তনের কাজ করা হবে। প্রাথমিক সার্ভে করা হল। এই স্টেশনের দার্জিলিং মেল দাঁড়ালে প্ল্যাটফর্মের বাইরে গিয়ে জেনারেল বগিতে উঠতে হয়। তাই প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো হবে।
স্টেশন ঢোকা ও বের হওয়ার আলাদা গেট হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে। আনুমানিক এক বছরের মধ্যে আমাদের এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হচ্ছে। টাউন স্টেশনর রেলের জমি দখল হয়ে আছে। তাতে করে উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। দখল সরানো না-হলে কাজে দেরি হবে। লিফট-সহ লেভেল ক্রসিংয়ের র্যাম্প হবে। 1 নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানালেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম (DRM) শুভেন্দু কুমার চৌধুরী।
আরও পড়ুন:চলন্ত ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা, যুবকের প্রাণ বাঁচালেন আরপিএফ কর্মী, দেখুন ভিডিয়ো
জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন করার কাজ শুরু হলে স্টেশনের পাশে শহরের আশ্রম পাড়া ও আদরপাড়ার বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য রেলগেটে একটি ফ্লাইওভার ব্রিজ। কারণ এই রেলগেটের কারণে বড় সমস্যায় পড়েন এলাকার মানুষজন। অমৃত ভারত প্রকল্পের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলার 5টি রেল স্টেশন রয়েছে আর এরমধ্যে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন ৷ এই স্টেশনের সঙ্গে জড়িত বহু ইতিহাস। স্টেশন হয়ে চলাচল করে নিউজলপাইগুড়ি-ঢাকাগামী মিতালী এক্সপ্রেস দার্জিলিং মেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও এই স্টেশন হয়ে চলাচল করে। অন্যদিকে, রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলের বৈদ্যুতিকরণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।