দার্জিলিং, 11 ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ তথা ডিআরআইয়ের অভিযানে উদ্ধার প্রায় 11 কোটি টাকার হাতির দাঁত । এই ঘটনায় গ্রেফতার অসমের দুই বাসিন্দা । নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেসে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে ডিআরআই । ধৃতদের নাম সোলেমান খান ও রতন গোয়ালা । তারা দু'জনেই অসমের নওগাঁর হোজাইয়ের বাসিন্দা ।
জানা গিয়েছে, রবিবার ওই দুই পাচারকারী গুয়াহাটি থেকে রাজধানী এক্সপ্রেস করে হাতির দাঁতগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল । সূত্র মারফত খবর পেয়ে রাজধানী এক্সপ্রেস নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতেই অভিযান চালায় ডিআরআই । তাতে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয় ।এরপর তাদের শিলিগুড়ির অফিসে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালালে তিনটি হাতির দাঁত উদ্ধার হয় । যার ওজন প্রায় সাত কেজির উপরে ।
সেগুলি হাতির দাঁত কিনা নিশ্চিত হতে ডাকা হয় ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকদের । তাঁরা এসে নিশ্চিত করেন যে সেগুলি এশিয়াটিক এলিফ্যান্ট প্রজাতির হাতির দাঁত । যেগুলির আন্তজার্তিক কালোবাজারে মূল্য প্রতি কেজি প্রায় দেড় কোটি টাকা । এরপরই ওই দুই ব্যক্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । সোমবার ফের ধৃতদের আদালতে তোলা হবে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ।
এই বিষয়ে ডিআরআইয়ের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, "মূলত ওই দাঁতগুলি বারাণসীতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল । পরে সেখান থেকে নেপালে পাঠানোর ছক ছিল । ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ডিআরআই ।" এর আগে মূলত শিলিগুড়িকে করিডোর করে মাদক থেকে শুরু করে সোনা পাচারের ঘটনা আকছার হত । কিন্তু গত কয়েকবছরে একইভাবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বন্যপ্রাণ সামগ্রী পাচারের ঘটনাও । চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ডিআরআইয়ের অভিযানে উদ্ধার হল বন্যপ্রাণ সামগ্রী ।