পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Elephant Attack: হাতির হানা রুখতে স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করল বন বিভাগ - Forest Department has Identified Sensitive Areas

হাতির আক্রমণে মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুতে তৎপর বন বিভাগ (Jalpaiguri District Forest Office Take Some Initiative to Prevent Elephant Attack)৷ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠকে বসল জলপাইগুড়ি জেলা বন বিভাগ ৷

ETV bharat
হাতির ছবি

By

Published : Feb 28, 2023, 4:15 PM IST

হাতির হানা রুখতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের নিয়ে বৈঠক করল জলপাইগুড়ি জেলা বন বিভাগ

জলপাইগুড়ি, 28 ফেব্রুয়ারি: হাতির হামলা রুখতে এবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গ্রামবাসীদের সাহায্য চাইল জলপাইগুড়ি জেলা বন বিভাগ । জলপাইগুড়ি বন বিভাগের 7টি রেঞ্জে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার হাতির হানার 19টি স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করল বন বিভাগ (Forest Department has Identified Sensitive Areas to Prevent Elephant Attacks)। বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের হাতির আক্রমণে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পরই নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন । কোনওভাবেই যাতে আর এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না-ঘটে সেদিকে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে । জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষজন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে একছাতার তলায় নিয়ে এসে কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাত রোধ করা যাবে তা নিয়ে জলপাইগুড়ি বিভাগীয় বনাধিকারিক বিকাশ বিজয় বৈঠকে বসেন মঙ্গলবার (Jalpaiguri District Forest Office)। এই বৈঠকে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা থেকে 5টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা হয় ।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বনবিভাগের অন্তর্ভুক্ত সিবচু, বাতাবাড়ি, মেটেলি, শুখানি বস্তি, মোরাঘাট, বামনডাঙা, দলগাঁও, বীরপাড়া, রামঝোরা, লাটাগুড়ি, বিচাভাঙা, টুন্ডু, নাগরাকাটা, কালামাটি, বানারহাট, মাদারিহাট, ডিমডিমা প্রভৃতি এলাকা সবচেয়ে বেশি হাতি যাতায়াতের স্পর্শকাতর এলাকা । এর মধ্যে খড়িয়ার বন্দর থেকে বাটাবাড়ি পর্যন্ত সর্বোচ্চ 104 জন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী আছেন ।

আরও পড়ুন :দেওয়া হল না মাধ্যমিক, পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বুনো হাতির হামলায় মৃত ছাত্র

এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক বিকাশ বিজয় বলেন,"জলপাইগুড়ি বন বিভাগের অধীনে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় হাতির মোট 16টি করিডোর রয়েছে । এই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে যাতায়াত সবচেয়ে ভয়ের । আর ওই করিডোরগুলি ব্যবহার করে মোট 393 জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে । যে কারণে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে । আমাদের কাছে 25টি গাড়ি রয়েছে । এছাড়া আরও 10টি গাড়ি প্রশাসনের কাছে চাওয়া হয়েছে ।"

তিনি আরও জানান, 16টি রেঞ্জ এলাকায় এই বিষয় নিয়ে মাইকিং করার কাজ শুরু হয়েছে । জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে । এর বাইরেও বিভিন্ন বনবস্তি এলাকায় গিয়ে সচেতনতার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে । সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর এলাকা হল মোরাঘাট । এই মোরাঘাটে 30টিরও বেশি হাতি আছে । সেখানে রুটিন টহলদারি রয়েছে । ছাত্রছাত্রীদের গাড়িতে করে নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন জঙ্গলের রাস্তায় ড্রপ গেট দিয়ে আটকে দেবার ব্যবস্থা করা হবে হচ্ছে ৷

এদিনের বৈঠকের পর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম সদস্য মানসবন্ধু মজুমদার বলেন,"মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হাতির হানায় এক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে । আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তাই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী ও গ্রামবাসীদেরও পাশে চাইছে বন বিভাগ । যাতে আমাদের সকলের মতামত নিয়ে বন্যপ্রাণী ও মানুষের সংঘাত এড়ানো যায় ৷ সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে । হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করে তথ্য আদান প্রদান করা হবে ।আমাদের বক্তব্যও লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ।"

আরও পড়ুন :চোখের সামনে হাতি ছেলেকে তুলে আছাড় মারল, আক্ষেপ বিষ্ণু দাসের

ABOUT THE AUTHOR

...view details