মলবাজার, 11 সেপ্টেম্বর: উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা ঠিক মতো পিএফ, গ্র্যাচুইটি না পেলে থানায় গিয়ে মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷ রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা-শ্রমিকদের এক সমাবেশে যোগ দিয়ে একথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee Message to Tea Garden Workers ) ৷
এদিন চা-শ্রমিকদের সমস্যা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, " চা-শ্রমিকদের পিএফ'এর টাকা ঠিক মতো জমা হচ্ছে না ৷ পিএফ গ্র্যাচুইটি কেন্দ্রের বিষয় ৷ 2 মাস সময় দিলাম, 31 ডিসেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা জমা দিতে হবে, না হলে পিএফ অফিস ঘেরাও হবে ৷ 1 জানুয়ারি বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের বাড়ি ঘেরাও হবে ৷ দরকারে দিল্লি যাব ৷ শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব শ্রমিকদের স্বার্থে ৷ বিজেপি নবান্ন অভিযানের কথা বলছে, আমরা বলছি দাবি আদায়ে দিল্লি চলো ৷"
আরও পড়ুন: অভিষেকের শ্যালিকার বিদেশযাত্রায় বাধা, যুযুধান শাসক-বিরোধী
চা-বাগান শ্রমিকদের উন্নয়নে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও এদিন অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee at Tea Garden Workers programme) ৷ তিনি বলেন, "1000 কোটি বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র, একটা টাকাও পাননি চা-শ্রমিকরা ৷ চা-শ্রমিকদের জন্য তৃণমূল সোচ্চার হবে ৷ বন্ধ চা বাগান খুলিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ বাম আমলের থেকে চা শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে ৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েও 7টি চা বাগান অধিগ্রহণ করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার ৷ বিজেপি শুধু ভাষণ দেয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার রেশন দেয় ৷"
চা-শ্রমিকদের বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের সমাবেশে যোগ দিতে অভিষেক যে যথেষ্ট তথ্য সঙ্গে এনেছিলেন তা তাঁর বক্তব্যেই পরিষ্কার ৷ তাঁর কথায়,"আপনারা মানে খেটে খাওয়া শ্রমিকরা, যাঁরা সকালবেলা বাচ্চাকে নিয়ে চা পাতা তুলতে বের হন 15 দিনের হাজিরা পেতে না পেতেই টাকা শেষ হয়ে যায় । কেন্দ্র সরকার কী করবে এই আশায় ছিলেন । 2016 সালের 28 জানুয়ারি নোটিফিকেশন দিয়েছিল কেন্দ্র । 7টি চা-বাগান কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করে খালার ব্যবস্থা করবে বলে নরেন্দ্র মোদি সরকার কথা দিয়েছিলেন, কিন্তু তা করেনি ৷ কিন্তু মমতা সরকার খুলে দিয়েছে । এবার ভোট চাইতে এলে কী করবেন । বিজেপি মিথ্যেবাদীর দল । এদের ছেড়ে কথা বলা যাবে না । পিএফ-এর দাবি ন্যায্য । পিএফ কেন্দ্রের দায়িত্ব । 3 লক্ষ 82 হাজার চা-শ্রমিক আছেন এই রাজ্যে ৷ শ্রম দফতরকে বলব সবার একটা আইকার্ড তৈরী করতে হবে তাঁদের জন্য ৷" চা বাগানের জমিতে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বাড়ি, শপিং মল তৈরি করেছেন বলেও অভিযোগ অভিষেকের ৷