হাওড়া, 8 ডিসেম্বর: 'উনি মা কালীকে অপমান করেছিলেন, আর এটাই সনাতন ধর্মের দেব-দেবীর শক্তি।' এই ভাষাতেই শুক্রবার সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশপাশি মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যর পালটা শুভেন্দু বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এথিক্স কমিটির মিটিংয়ে কেন হস্তক্ষেপ করবেন ! মহুয়াকে এথিক্স কমিটির মিটিংয়ে ডাকা হয়েছিল, উনি সেখানে নাটক করে বেরিয়ে এসেছেন সেটা সকলে দেখেছেন। আর যে অনৈতিক কাজ তিনি করেছেন তাতে দেশের কাছে বাংলার গরিমা, সংস্কৃতি নষ্ট হয়েছে। স্বাধীনতার পরে আরও 50 জন সাংসদ এইরকম ছিলেন বাংলা থেকেই যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।"
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, "আপনাদের বলেছিল দুই পয়সার সাংবাদিক। অতি দর্পে হতা লঙ্কা, অতি মানে চ কৌরবাঃ। অতি বার বাড়লে তার পতন দ্রুত হয়।" এছাড়াও অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমকে মহুয়া প্রসঙ্গে একহাতও নিয়েছেন শুভেন্দু । তাঁর কথায়, "এরা এখন নিজেদের চাকরি বাঁচাতে এই সব বলছেন। এই দু'জনে বেশ কিছুদিন ধরে সেটিং তত্ত্ব বলতেন। আর স্বপারিষদ খাদ্যমন্ত্রী গ্রেফতার ও মহুয়াকে বহিস্কার করার পর প্রমাণিত কংগ্রেস আর বামেরা হল চোর তৃণমূলের বি-টিম। আর বিজেপি এই চোরদের সমূলে উৎখাত করতে চায়, অন্য কেউ না।"
এছাড়াও কালীঘাটের কাকুর প্রসঙ্গ নিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, "পিজির সুপার মমতার এক চাকর । ওটাকে ইডি, সিবিআই চুলের মুঠি ধরে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত, প্যাদানি দিলেই সব বলে দেবে। উনি কামারহাটির তৃণমূল নেতার সঙ্গে জন্মদিন পালন করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, আমার কাছে ছবি আছে। আর কাকু তো শিশুই, ডাকাতের পরিবারের কর্মচারী। ও ছোট ডাকাত।"
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর চা বাগানে চা পাতা তোলার প্রসঙ্গেও এদিন কটাক্ষ করেন শুভেন্দু । তিনি বলেন, "শীতকালে কেউ চা পাতা তোলে না। উনি তুলেছেন। সেটাও বোধ হয় এক হাজার 956টা গুনে গুনে তুলেছেন।"