চন্দননগর, 29 মে: রাজ্যে ঢুকছে একের পর এক শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন । বাংলায় ফিরছে বহু পরিযায়ী শ্রমিক । সামাজিক দূরত্ব বিধিকে তোয়াক্কা না করে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে তাদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে, অভিযোগ উঠল হুগলিতে ।
সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো হচ্ছে, অভিযোগ হুগলিতে
এই রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফিরছে । তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই পাঠানো হচ্ছে বাড়িতে ৷ অভিযোগ উঠল হুগলিতে ।
বৃহস্পতিবার 17টি ট্রেনে মহারাষ্ট্রের মুম্বই, নাগপুর, সোলাপুর থেকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে রাজ্যে । অভিযোগ, ডানকুনি স্টেশনে নামার পর ছোটো ছোটো গাড়িতে চাপিয়ে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডানকুনি লোকোমোটিভ কারখানা ক্যাম্পাসে । সেখান থেকে বাসে করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে নিজ নিজ জায়গায় । এই ঘটনা শুধুমাত্র হুগলিতে নয়, হাওড়া, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতার বাসিন্দাদের সাথেও ঘটছে বলে অভিযোগ। যে বাস বা ট্রেকারে করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানেও গা ঘেষাঘেঁষি করে শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে ৷
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির বলেন, "মহারাষ্ট্র এবং চেন্নাই থেকে পরিযায়ী শ্রমিক আসছে । আমাদের জেলায় একসঙ্গে এতগুলো ট্রেন আসায় কার্যত অসুবিধা হচ্ছে । আমাদের অফিসাররা বিষয়টি দেখছেন । শুধু ডানকুনি স্টেশন নয়, আসানসোল বর্ধমানসহ একাধিক জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন । তাদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এখানে করা সম্ভব হচ্ছেে না । তাই প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়টি দায়িত্ব নিয়েছে । যে বাসগুলিতে শ্রমিকদের ফেরানো হচ্ছে, সেখানে 20 থেকে 25 জনের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে । কিন্তু কী কারণে সংখ্যাটা বেশি করা হচ্ছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি । হুগলি জেলার শ্রমিকদের সরকারি কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।"
হুগলি জেলার সভাধিপতি মেহেবুব রহমান এই প্রসঙ্গে বলেন, "রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে একত্রিত হয়ে চলা উচিত । মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, একসঙ্গে এতগুলো ট্রেন রাজ্যে ঢুকলে বেশ সমস্যায়় পড়তে হচ্ছে । তাও পরিষেবা দেওয়ার জন্য তিনি ব্যবস্থা করে চলেছেন । লকডাউনের পর থেকে শ্রমিকদের পাঠানো উচিত ছিল । তাতে এতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হত না । এছাড়া বাংলায় কোরোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল । তবে এক সঙ্গে বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক আসায় কোরোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে ।"