পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By

Published : May 24, 2020, 7:31 PM IST

ETV Bharat / state

কাজ বন্ধের নোটিশ শ্রীরামপুরের কারখানায়, কর্মহীন প্রায় 200

আমফানের জেরে কারখানার শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তাই কাজ বন্ধের নোটিশ দিল শ্রীরামপুরের এক কারখানা । এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা ।

shrirampore
shrirampore

শ্রীরামপুর, 24মে : শ্রীরামপুরের একটি কারখানায় সাসপেনশন অফ অপারেশনের নোটিশ দিল কর্তৃপক্ষ । এর প্রতিবাদে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা । কারখানা বন্ধ হলে কাজ হারাবেন প্রায় 200 শ্রমিক ।

কাজ বন্ধের নোটিশ দেওয়ার কারণ হিসেবে মাল্টি সার্ভ রোলস প্রাইভেট লিমিটেড কম্পানির তরফে বলা হয়েছে, আমফানের জেরে কারখানার শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । কাজ তাই বন্ধ রাখতে হবে ।

এরই প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা । এমনিতেই লকডাউনে ঠিকভাবে বেতন পাচ্ছিলেন না তাঁরা । তার উপর আজ এই নোটিশ দেওয়া হয় । শ্রমিক ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, কারখানার শেডের ক্ষতিই যদি কারণ হয় তবে ঝড় হওয়ার এতদিন পর কেন কারখানা বন্ধ করা হল । সেই সঙ্গে বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা ।

কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আমফানের ফলে কারখানার শেড উড়ে যায় । অনেক মেশিনেরও ক্ষতি হয় । বিদ্যুৎ, জল না থাকায় সমস্যা বাড়ে । লকডাউনের কারণে চার ঘন্টা কাজের টাকা দেওয়া হয় শ্রমিকদের । অল্প সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে উৎপাদন চলতে থাকে । এরই মধ্যে 20মে রাতে আমফান সব তছনছ করে দেয় । আর কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দেয়, এই অবস্থায় কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয় ।

আজ কারখানা গেটে শ্রমিক সংগঠনগুলি বিক্ষোভ দেখায় । এই কারখানায় স্থায়ী শ্রমিক আছেন 100 জন । অস্থায়ী এবং কারখানা কর্মী নিয়ে মোট 250 জন কাজ করেন ।

হীরালাল অধিকারী নামে এক শ্রমিক বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ ছিল । সেইভাবেই করছিলাম ।মালিক মার্চ মাসে আট ঘণ্টার বেতন দিয়েছেন । কিন্তু এপ্রিল মাসের চার ঘণ্টার বেতন দিয়েছেন । আমরা আট ঘণ্টার কাজের বেতনের দাবি জানিয়েছিলাম । এই কারখানায় তিনটি শ্রমিক সংগঠন । মালিকপক্ষ যা যা কাজ বলছিলেন তাঁদের কথা মতোই চলছিলাম । কিন্তু হঠাৎ করে কারখানার মালিক শেড মেরামতির অজুহাত দেখিয়ে আমাদের কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন । আমাদের দাবি আটঘণ্টা কাজের পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হবে এবং কাজ আবার শুরু করতে হবে ।”


তৃণমূল প্রভাবিত ইউনিয়নের তরফে অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কারখানা বন্ধ করাটা একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । 20 মে আমফানে কারখানার ক্ষতি হলে 21 তারিখই কেন নোটিশ দেওয়া হল না । কাজ করিয়ে নিয়ে এখন নোটিশ কেন দিচ্ছে মালিকপক্ষ । হয়তো বাজার মন্দার জন্য এই কারখানা বন্ধ করা হয়েছে । যাতে শ্রমিকদের বেতন না দিতে হয় । আমরা সরকারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি ।”

ABOUT THE AUTHOR

...view details