চিনের কৃত্রিম ফুলের বাজারে পাল্লা দিতে পারছে না ভারত গুপ্তিপাড়া, 5 অক্টোবর: চিনের কৃত্রিম ফুল ভারতীয় বাজার দখল করে রেখেছে আগে থেকেই। ভারতীয় ফুলের গুণগত মান উন্নত না-হওয়ায় মার খেতে হচ্ছে কাপড় ও প্লাস্টিক ফুলের বাজারে। চিনের মতো উন্নত প্রযুক্তি থাকলে টক্কর দিতে পারে ভারত। ভারতীয় কৃত্রিম ফুল তৈরি বাজারের অন্যতম নাম হল হুগলির গুপ্তিপাড়া। এখানে ছোট ও বড় কয়েকশো কারখানা রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে 4 হাজার শ্রমিক কাজ করেন। উন্নত প্রযুক্তি, আর্থিক ও সরকারি সাহায্য পেলে এই ক্ষুদ্র শিল্পে কর্মসংস্থান বাড়বে। চিনের মতো কাপড় ও সঠিক মেশিন পেলে এরাজ্যে থেকে কৃত্রিম ফুল দেশে-বিদেশে রফতানি করা সম্ভব।
বিয়ে বাড়ি থেকে যে কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে কৃত্রিম ফুলের চাহিদা বেড়েছে। অন্যান্য প্রাকৃতিক ফুলের অতিরিক্ত দামের কারণে এই নকল ফুল ছেয়ে গিয়েছে। এছাড়াও এই ফুল সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এই ধরনের কৃত্রিম ফুল ও গাছ বাড়িতে দেখতেও সুন্দর লাগে। আর এতেই একচেটিয়া বাজার করেছে চিন। আর এই বাজারকে ধরতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছেন। ভারতের অন্যান্য জায়গার মতোই প্রায় 30 বছর ধরে ফুল তৈরি করেছে গুপ্তিপাড়ায় প্লাস্টিক কারখানাগুলি তৈরি হয়েছে।
গত কয়েক বছর আগে সরকার সাহায্যের জন্য 35 জন ব্যবসায়ীদের নিয়ে ক্লাস্টার তৈরি হয়। সেইমতো খড়গপুর আইআইটি'র প্রতিনিধিরা আসেন এই শিল্প দেখতে। গুপ্তিপাড়ার এই কারখানা ফুলের কাপড় ও মেশিনের অভাবে পাল্লা দিতে পারছে না চিনের সঙ্গে। সরকারি সাহায্য পেলে ভারতের বিদেশের বাজার দখল করতে পারবে। তবে এবিষয়ে হুগলির জেলা শাসক অফিস সূত্রে খবর, সম্প্রতি গুপ্তিপাড়া ক্লাস্টার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যত শীঘ্রই কাজ চালু চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেলা শিল্প সমবায়ের আধিকারিক সুমন লাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "গুপ্তিপাড়া ক্লাস্টারের কাছে ডিপিআর চাওয়া হয়েছে। এরপরই কাজ শুরু হবে ৷"
গুপ্তিপাড়ার ফুলের ক্লাস্টারের সম্পাদক দীপঙ্কর পোদ্দার বলেন, "আমাদের আশা গুপ্তিপাড়া থেকেই ভারতে আরও এই ধরনের কারখানা তৈরি হবে।উন্নত প্রযুক্তি বিদ্যায় কেমিক্যালের মাধ্যমে ফুলের কাপড় তৈরি করা সম্ভব।" গুপ্তিপাড়ার এক ব্যবসায়ী শ্যামল মণ্ডল বলেন, "চিনা ফুলের মতো গুণগত মান নেই গুপ্তিপাড়ায়। আমরাও চাই গুপ্তিপাড়ায় ভালো ও সুন্দর ফুল তৈরি হোক।"
আরও পড়ুন:আসলের চেয়ে নকলে বেশি আস্থা, বাজারে রমরমা কৃত্রিম ফুলের