ডানকুনি, 12 অগাস্ট : 100 টি ইলেকট্রিক রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করতে সক্ষম হল ডানকুনি ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ৷ আজ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিনের জেনেরাল ম্যানেজার প্রবীণ কুমার মিশ্র কারখানার ফ্ল্যাগ অফ করেন ৷
100 টি রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করল ডানকুনি লোকোমোটিভ - Dunkuni locomotive manufactured 100 rail engines
2009 সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কারখানার শিলান্যাস করেন ৷ এরপর এই ডানকুনি ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ইঞ্জিন কারখানা তৈরি হয় ৷ মূলত ভারী মালগাড়ি টানার জন্য এই লোকো ইঞ্জিন ব্যবহার হয় ৷
2009 সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কারখানার শিলান্যাস করেন ৷ এরপর এই ডানকুনি ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ইঞ্জিন কারখানা তৈরি হয় ৷ মূলত ভারী মালগাড়ি টানার জন্য এই লোকো ইঞ্জিন ব্যবহার হয় ৷ এরপর 2016 সালের মার্চ মাসে শুরু হয় উৎপাদন ৷ প্রথম বছর তৈরি হয় 12 টি ইঞ্জিন ৷ এরপর দ্বিতীয় বছর 25 টি ও তৃতীয় বছর 28 টি ইঞ্জিন তৈরী হয় ৷ চলতি বছরে সেই সংখ্যা 100 ছুঁল ৷ কম সময়ে কারখানা থেকে উৎপাদন বেশি দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি রেল দপ্তর ৷
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার GM প্রবীণ কুমার মিশ্র বলেন, "2016 সাল থেকে ডানকুনি লোকোমোটিভ কারখানায় ইঞ্জিন তৈরি করা শুরু হয় । মূলত 6000 হর্সপাওয়ারের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন উৎপাদন হয় এই কারখানায় । বিগত বছরের তুলনায় এই বছর উৎপাদন বেশি হওয়ায় আজ কারখানায় শুভ সূচনা হয় । এই কারখানায় প্রায় 400 দক্ষ শ্রমিক কাজ করেন । চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ সমস্ত পার্স অ্যাসেম্বলি করে এখানকার ইঞ্জিনিয়র ও দক্ষ শ্রমিকরা নিখুঁত ইঞ্জিন প্রস্তুত করে । এই কারখানাটি মূলত বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন অ্যাসেম্বলি ও অ্যানসিলারি ইউনিট । 2016 সালে 9 সেপ্টেম্বর তৎকালীন সুরেশ প্রভু নতুন করে উন্মোচিত করেন এই কারখানা । এখানে WAG-নাইন H সিক্স হাজার হর্সপাওয়ার ইলেকট্রিক ইঞ্জিন তৈরি করা হয় । এই ইঞ্জিন মালগাড়ির জন্য ব্যবহার করা হয় । যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ডিজেল ইঞ্জিন তৈরির কারখানা হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখনও হয়নি ৷"