বৈদ্যবাটি, 18 জুলাই : করোনা হানায় বন্ধ তারকেশ্বরের শ্রাবণী মেলা, তীর্থযাত্রীদের বৈদ্যবাটির নিমাইতীর্থ ঘাট থেকে জল নিতে দিচ্ছে না প্রশাসন ৷ যেখান থেকে জল নিয়ে বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢালার রেওয়াজ ৷ ফলে ধুঁকছেন ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা ৷
করোনার কারণে একাধিকবার বন্ধ হয়েছে তারকেশ্বরের মন্দির । আপাতত মন্দির খোলা থাকলেও মন্দির চত্বরে একসঙ্গে 200 জনের বেশি প্রবেশে নিষেধ ৷ তবে চোঙের মাধ্যমে বাবার মাথায় জল ঢালতে পারেন পূণ্যার্থীরা । কিন্তু শ্রাবণী মেলার ভিড় এড়াতে শেওড়াফুলি থেকে বৈদ্যবাটি অবধি সমস্ত ঘাট বন্ধ করেছে প্রশাসন । ফলে শেওড়াফুলি ঘাট ও বৈদ্যবাটি স্টেশনের রাস্তার দোকানিদের করুণ অবস্থা ৷ তীর্থযাত্রীদের উপর নির্ভরশীল ছিলেন যাঁরা ৷ মাটির হাড়ি-ঘট-কলসি, বাঁক, দড়ির দোকানদার, হোটেল, মিষ্টির দোকান, জামাকাপড়ের দোকানদারদের রোজগারে টান পড়েছে গত বছর থেকেই ৷ তাঁরা আজ সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন ৷
স্থানীয় মাটির পাত্রের কারিগড় কানাই পাল বলেন, "কলসি তৈরি করছি ৷ বিক্রি হবে কি-না সন্দেহ । ঘরের পয়সা দিয়ে তৈরি করছি তারকেশ্বরের ঘড়া । এটাই আমাদের প্রধান ব্যবসা । বিক্রি না হলে চলবে কী করে !"
এর মধ্যেও অল্প কিছু তীর্থযাত্রীর দেখা মিলছে ৷ তেমনই এক তীর্থযাত্রী অশোক ভুঁইয়া বলেন, "জানি শ্রাবণী মেলা হবে না ৷ তাই আগাভাগে জল ঢালতে যাচ্ছি ৷"