পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

AMRUT Scheme: আম্রুত প্রকল্পের আওতায় জলকষ্ট থেকে রেহাই মিলতে চলেছে শিলিগুড়িবাসীর

কেন্দ্র সরকারের সহযোগিতায় পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে মেগা প্রজেক্টের ছাড়পত্র পেল শিলিগুড়ি পৌরনিগম ৷ এবার কেন্দ্রের আম্রুত প্রকল্প ও রাজ্যের আর্থিক সহযোগিতায় এই পানীয় জল প্রকল্প পেতে চলেছে শিলিগুড়িবাসী ।

AMRUT Scheme
জলকষ্ট থেকে রেহাই মিলতে চলেছে শিলিগুড়িবাসীর

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 7, 2023, 8:50 PM IST

জলকষ্ট থেকে রেহাই মিলতে চলেছে শিলিগুড়িবাসীর

শিলিগুড়ি, 7 সেপ্টেম্বর: দীর্ঘ কয়েক দশক পর অবশেষে কাটল জট ৷ খুব দ্রুত পানীয় জলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চলেছে শিলিগুড়ি শহরবাসী। বাম আমল থেকে চলে আসা টালবাহানা মিটতে চলেছে ৷ অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে টেন্ডার প্রক্রিয়া। দ্রুত সম্পন্ন হবে ওয়ার্ক অর্ডার প্রক্রিয়াও। এরপরই শুরু হবে দ্বিতীয় জলপ্রকল্পের কাজ । এমনটাই জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র গৌতম দেব।

দেশের অন্যতম বৃহৎ পানীয় জল প্রকল্পের ছাড়পত্র পেল শিলিগুড়ি পৌরনিগম। কেন্দ্রীয় সরকারের আম্রুত প্রকল্প ও রাজ্যের আর্থিক সহযোগিতায় এই পানীয় জলপ্রকল্প পেতে চলেছে শিলিগুড়িবাসী। জানা গিয়েছে, আম্রুত প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় জল প্রকল্পের জন্য মোট 513 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের খরচ আনুমানিক 204কোটি টাকা। এই প্রকল্পে 62 শতাংশ রাজ্যের, 5 শতাংশ পৌরনিগমের এবং 33 শতাংশ কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে ।

পৌরনিগম সূত্রের খবর, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের সহযোগিতায় এই প্রথম এত বড় প্রকল্পের কাজ করতে চলেছে শিলিগুড়ি পৌরনিগম। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শহরে পানীয় জলের সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গাজলডোবা পর্যটন কেন্দ্র থেকে তিস্তা নদীর জল পরিশ্রুত করে সরবরাহ করা হবে শহরে ।

আরও পড়ুন:শিলিগুড়িতে উদ্ধার 5 বাংলাদেশি মহিলা, গ্রেফতার 3 পাচারকারী

কারণ, দীর্ঘ কয়েক দশক যাবৎ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের একাধিক ওয়ার্ড। কোনও ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা জলশূন্য থেকে যাচ্ছে আবার কোনও ওয়ার্ডে পানীয় জল পৌঁছলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে একাধিক সময় পানীয় জলের দাবিতে সরব হয়েছিল শহরবাসী ৷ পৌরনিগমের ক্ষমতা রাজ্যের শাসকদলের হাতে যেতেই শহরবাসীর পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে তৎপর হয় শিলিগুড়ি পৌরনিগম । আর এবার সেই সমস্যা মিটতে চলেছে । 18 মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পর, তা তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে । তারপর বাকি থাকা প্রায় 300 কোটি টাকার দ্বিতীয় দফার কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

আরও পড়ুন:ট্রাকের গোপন চেম্বারে পাচারের ছক ! পুলিশি অভিযানে উদ্ধার 2 কুইন্টাল গাঁজা, গ্রেফতার 2

ABOUT THE AUTHOR

...view details