কলকাতা, 30 জুন : জিটিএ(GTA) আওতাধীন এলাকায় প্রাথমিক আর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন জানিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েকে চিঠি দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং ৷ তাঁর দাবি, গোর্খাল্যান্ডে 2012-য় শেষ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষক নিয়োগের আবেদন মেনে নিলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে ৷
বর্তমানে গোর্খাল্যান্ডের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের পরিসংখ্য়ান দিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লেখেন, "2002-এ নেওয়া ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে 2012 সালে গোর্খাল্যান্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে শেষ বারের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল ৷ এর পর 2018 সালে 123 জন স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষককে নিয়মিত করা হয় ৷ বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে 653-টিরও বেশি সংখ্যক পদ খালি রয়েছে ৷ উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ করা বাকি ৷" এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের উপর আস্থা রয়েছে তাঁর ৷ তাই তাঁকে এ বিষয়ে নজর দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিমল গুরং ৷
আরও পড়ুন : বিজেপির বৈঠকের শেষবেলায় দেখা গেল কৈলাসকে
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন, পুজোর আগেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে ৷ আর এই শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের চিন্তাশীল ভূমিকায় গুরুং কৃতজ্ঞ ৷ এ কথাও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি আশাবাদী, এর ফলে একদিকে যেমন প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার প্রসার ঘটবে, অন্যদিকে রাজ্যে বেকার সমস্যারও অনেকটা সুরাহা হবে ৷ তবে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে তিনি সরকারের উপরই নির্ভর করছেন ৷ এই প্রসঙ্গে লেখেন, "আমরা এ বিষয়ে উৎসাহী যে, রাজ্য সরকারের শিক্ষক নির্বাচনের পদ্ধতি পুরোপুরি মেধার উপর ভিত্তি করে হবে ৷ আর সেখানে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে ৷"
এক সময় গোর্খাল্যান্ডে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে বিমল গুরুঙের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ৷ কিন্তু পরে তিনি বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন ৷ এ বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে প্রচার করেন ৷ বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, "15 বছর ধরে আমি বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে এসেছি, তারা আমাদের জন্য কী করেছে ? মোদি আমাদের আশ্বস্ত করেছিল, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ তাও ছ-সাত বছর হতে চলল, কিছুই হয়নি ৷" বিজেপির প্রতি বাংলার মানুষের মনোভাব প্রসঙ্গে তিনি মনে করেন, এই রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে চায় না ৷
পুজোর আগে সব মিলিয়ে 32 হাজার শিক্ষক নিয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই পরিসংখ্যানে গোর্খাল্যান্ডের মানুষরাও যাতে থাকে, সেই আবেদন জানিয়ে মমতাকে চিঠি দিয়েছেন বিমল গুরুং ৷