শিলিগুড়ি, 21 জুন: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন জমার দিনের সংঘর্ষের ঘটনায় জখম সিপিএম কর্মী মনসুর আলমের মৃত্যু হল বুধবার । টানা ছ’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । আর তাঁর মৃত্যুর পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । তবে গুলিতে নয়, মাথায় আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর বলে জানা গিয়েছে ।
এ দিন সকালে শিলিগুড়ির খালপাড়ার এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের । আর তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল । এ দিন নার্সিংহোমে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয় । মৃত্যুর পর নার্সিংহোমে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান দার্জিলিং জেলা সিপিএমের সম্পাদক সমন পাঠক, বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা । অশোক ভট্টাচার্য জানান, মনসুর আলম গ্রামের অধিকার রক্ষার যে সংগ্রাম পশ্চিমবঙ্গে চলছে, তাতেই শহিদ হয়েছেন ৷ এর দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে নিতে হবে ৷
মনসুরের মামা মহম্মদ শাহাজাহান বলেন, "ভোরে মনসুরের মৃত্যু হয় । আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে । কিন্তু যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মূল অভিযুক্ত নয় ।" আরেক আত্মীয় আইনুল হক বলেন, "সেখানকার দুই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মহম্মদ হামিদুল রহমান ও জিয়ারুল রহমানের নেতৃত্বে গোটা চোপড়ায় আগুন জ্বলছে । মনোনয়নের দিন মিছিলে হামলা চালানো হয় । আর ঘটনার পরেও প্রকাশ্যে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে । মনে হচ্ছে কোনও গণতন্ত্র নেই ।"