শিলিগুড়ি, 10 জুন :করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাহাড়বাসীর জন্য সেফ হোম চালু করলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং ৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় দার্জিলিংয়ের টাকভারের মালিধুরায় তৈরি করা হয়েছে এই সেফ হোম ৷ মোট 40 শয্য়ার এই সেফ হোমের 20টি শয্যা থাকছে মহিলাদের জন্য ৷ নাম রাখা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা আইসোলেশন সেন্টার ৷
বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি এই সেফ হোমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সিপি শর্মা ও বিমল গুরুং ৷ সেফ হোমে থাকছে অক্সিজেন পরিষেবাও ৷ সম্পূর্ণ বিনা খরচে কোভিডের প্রাথমিক চিকিৎসা-সহ অন্যান্য পরিষেবা মিলবে এই সেফ হোমে ৷
মোট 40 শয্য়ার এই সেফ হোমের 20 টি শয্যা থাকছে মহিলাদের জন্য ৷ এছাড়াও, রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই সেফ হোমে থাকবে চারটি অ্যাম্বুল্যান্স ৷ তাতে রোগীদের বাড়ি থেকে সেফ হোমে আনা এবং সুস্থ হয়ে উঠলে ফের রোগীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া বা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা থাকবে ৷
পাহাড়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই দার্জিলিং সদর হাসপাতালে পৃথক কোভিড ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে ৷ শয্যার সংখ্যাও 10টি বাড়ানো হয়েছে ৷ কার্শিয়াং মহকুমা হাসপাতালেরও 20টি অতিরিক্ত শয্যা যোগ করা হয়েছে ৷ এছাড়া মিরিকেও চালু করা হয়েছে 50 শয্যার সেফ হোম ৷
সেফ হোমের নাম রাখা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা আইসোলেশন সেন্টার ৷ বিমল গুরুং জানান, পাহাড়ের পৌর এলাকার বাসিন্দাদের জন্যে নতুন এই সেফ হোমটি চালু করা হল ৷ তাছাড়া, প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা, চা বাগানের শ্রমিক, যাঁরা করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন ৷ তাঁরাও এখানে থাকার সুযোগ পাবেন ৷
আরও পড়ুন :মিরিকে চালু হল 50 বেডের সেফ হোম
এখানে চিকিৎসক, 10 জন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সবসময়েই থাকবেন ৷ ওষুধ থেকে অক্সিজেন, সব পরিষেবাই মিলবে এখানে ৷ প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা অন্যত্র রেফার করলে সংক্রমিতদের অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ারও বন্দোবস্ত থাকবে ৷ এই সেফ হোমটি চালু হওয়ায় উপকৃত হবে পাহাাড় ও চা বাগানের বাসিন্দারা ৷