গঙ্গারামপুর, 9 জুন: লকডাউনে বন্ধ খেলাধুলোর চর্চা। বাড়ি থেকে বের না হতে পারায় করতে পারছেন না চর্চা। এবছরের ডিসেম্বরে এশিয়ান গেমসে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লকডাউনের জন্য সমস্ত কিছু বাতিল হয়ে পড়েছে। তাই বাড়িতেই শরীর চর্চা করে দিন কাটাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর পৌরসভার কালদিঘী এলাকার দীপা সরকার।
খুব ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ দীপার। একসময় লোহার গোলক নিক্ষেপ নিয়ে বেশি চর্চা করতেন। 2013 সাল থেকে সাইকেলিংকেই তাঁর ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নেন। রাত দিন এক করে প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন দীপা। 2016 সালে সাইকেলিং সাব জুনিয়র গ্রুপে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। তারপর থেকে দীপা জাতীয় স্তরে খেলার জন্য সুযোগ পান। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাইকেলিং এর জন্য সুযোগ পান।
2020 সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ান গেমসে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লকডাউন এর জন্য সমস্ত কিছু বাতিল হয়ে যায়। যার কারণে দীপা এখন কোন প্রশিক্ষণ নিতে পারছে না। কবে এই লকডাউন উঠবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।
2016 সালে সাব জুনিয়র এ রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হন দীপা সরকার। এরপর জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ পান হরিয়ানা, কর্ণাটক, কেরালাতে। এই বছরের শুরুতে রাজ্য সাইকেলিং সিনিয়র বিভাগে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। 2020 সালের ডিসেম্বর মাসে পাখির চোখ ছিল এশিয়ান গেমস। কিন্তু টানা লকডাউন তাঁর কাছে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউন এর কারণে রাস্তায় বের হতে পারছেন না। গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামকে কোয়ারানটিন সেন্টার করায় সেখানেও প্র্যাকটিস করতে পারছে না।
এই বিষয়ে দীপা জানান, “লকডাউন এর কারণে বাইরে বের হতে পারছিনা প্র্যাকটিসের জন্য। সেই জন্য বাড়িতে প্র্যাকটিস করছি, শরীর চর্চাও করছি। সাইকেল নিয়ে বের হতে পারছিনা, সেই জন্য পড়াশোনা করছি বাড়িতে বসেই। এখন সরকারি চাকরির আশায় আছি এবং সেই জন্য বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে পড়াশোনা করছি। এই বছর নদিয়াতে স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ হয়েছিল এবং ডিসেম্বরে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু লকডাউন হওয়ার কারণে সেটা আর হয়ে উঠলো না।’’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিভূতিভূষণ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের গঙ্গারামপুর মহাকুমা এলাকায় সাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশন আছে তার মূল দায়িত্বে আছে সুজন কর্মকার । গঙ্গারামপুরে যে সমস্ত সাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের ছেলেমেয়েরা আছে তাঁদেরকে আমি বলছি বসে না থেকে বাড়িতেই প্র্যাকটিস করতে এবং যেহেতু লকডাউন চলছে সেই কারণে মন খারাপ না করে আগামী দিনে যেন আরও ভালো জায়গায় যেতে পারে সেই চেষ্টা করতে।’’
শুধু দীপা নন, এই জেলার অনেক ছেলেমেয়েরাই লকডাউন এর কারণে প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন না। খেলাধুলো বাদ দিয়ে এখন পরিবারকে সাহায্য করতে ও পড়াশোনা করতেই ব্যস্ত তাঁরা।