হিলি, ৮ জুন: দীর্ঘ ৭৫ দিন পর অবশেষে খুলল হিলি আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর। আজ থেকে শর্তসাপেক্ষে চালু হল আন্তর্জাতিক আমদানি- রপ্তানি। সকাল ১০ টায় দু'দেশে ব্যবসায়ী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের উপস্থিতিতে প্রথম পণ্যবাহী লরি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে যায়। তবে একদিনে ৪০ টি অত্যাবশকীয় পণ্য সামগ্রীর লরি বাংলাদেশে যাবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। যানবাহন চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে লোক যাতায়াতের ব্যবস্থা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর এই হিলি দিয়েই বাংলাদেশে পণ্যসামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি হয়। মূলত পাথর, পেঁয়াজ, জিরা সহ অন্যান্য সামগ্রীর রপ্তানি বেশি হয়। প্রত্যেকদিন গড়ে ১৫০ - ২০০ লরি ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য সামগ্রী নিয়ে যেত। প্রত্যেক দিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ কোটির ব্যবসা হত। জেলার কমবেশি প্রায় ১০০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা বাংলাদেশে পণ্য সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানি কর্ থাকেন। যদিও ,এই সবই ছিল লকডাউনের আগের চিত্র ৷ ২৬ মার্চের পর থেকে হিলির চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছিল ৷ লকডাউন চলাকালীন হিলি স্থলবন্দর সংলগ্ন ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের দু'পাশে ৩০০টিরও বেশি লরি দাঁড়িয়ে ছিল। যারমধ্যে বেশির ভাগ লরিতে ছিল পণ্যসামগ্রী। পরিসংখ্যান বলছে , বিগত আড়াই মাস হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় প্রায় ১২০০ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নয়, ক্ষতি হয়েছে সরকারি রাজস্বেরও। সমগ্র ব্যবসা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যাওয়াই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ৮-১০ কর্মী ব্যাপক ভাবে সমস্যায় পড়েছেন। তাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হিলি আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানির ব্যবস্থা দ্রুত চালুর আবেদন জানিয়েছেন হিলি এক্সপোর্টারস এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। তারা জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে আড়াই মাস পর আজ খুলল হিলি আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর। যদিও কিছু শর্ত সাপেক্ষে চালু হল এই বাণিজ্য ৷ তবে, আগের মত লরি রোজ চলাচল করবে না। শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্য রপ্তানি হবে। এক্ষেত্রে দৈনিক ৪০ টির বেশি লরি যেতে পারবে না বাংলাদেশে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশ মেনে বাংলাদেশ থেকে আসা লরির চালক ও খালাসিদের ১৪ দিনের কোয়ারানটিনে থাকতে হতে পারে ৷ এছাড়াও বাংলাদেশে যাওয়ার আগে লরির চালক ও খালাসিদের করা হচ্ছে স্ক্রিনিংও ।