পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

অন্নের খোঁজে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিয়ে সাহায্যের আর্তি মহিলার - An women is living without having food properly with her abnormal child

মাসে দেড় কিলো চাল দিয়ে পেট চলছে বালুরঘাটের চকভৃগু গ্রামের মিলিনা বারু ও তাঁর ছেলে জোসেফ বারুর । বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তাই বাইরে বেরিয়ে কাজ করাও মুশকিল মিলিনাদেবীর । এখন তাঁর আর্তি, আর্থিক সাহায্য পেলে বেঁচে যায় দু'টো প্রাণ ।

মিলিনা বারু ও তার ছেলে জোসেফ বারু

By

Published : Oct 18, 2019, 3:23 PM IST

Updated : Oct 18, 2019, 3:30 PM IST

বালুরঘাট, 18 অক্টোবর : স্বামী অনেকদিন আগেই মারা গেছে । মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে দিন কাটছে বালুরঘাট থানার চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিনা বারুর (60) । স্বামীর যৎসামান্য পুঁজি দিয়ে কিছুদিন চললেও এখন খাবার জোটানোই দায় হয় দু'জনের । বয়সের ভারে ন্যুব্জ, তাই বাইরে বেরিয়ে কাজ করাও মুশকিল মিলিনাদেবীর পক্ষে । পাঠকাঠির বেড়ার ঘরে তাই ছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে দিন চলে তাঁর । চিকিৎসা তো দূর, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাঁর খোরাক বেশি হলেও মা জোটাতে পারে না রোজকার অন্ন । এখন সরকারের কাছে আর্জি, আর্থিক সাহায্য পেলে বেঁচে যায় দু'টো প্রাণ ।

দক্ষিণ কুয়ারন আদিবাসীপাড়ায় বাড়ি মিলিনা বারুর । স্বামী প্রেম দয়াল বারু মারা গেছেন প্রায় বছর 20 আগে । পেশায় ছিলেন শ্রমিক । দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মিলিনাদেবী । বড় ছেলে বিমল বারু কয়েক বছর আগে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন । ছোটো ছেলে জোসেফ বারু(28)-কে নিয়েই বর্তমানে সংসার মিলিনাদেবীর । জোসেফ মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় কোনও কাজ করতে পারে না । আবার বয়সের ভারে চোখে কম দেখেন মিলিনাদেবী । কানেও কম শোনেন । তাই এখন আর বাইরে বেরিয়ে কাজ করতে পারেন না তিনি । বড় ছেলের সংসার আলাদা হওয়ায় তার কাছ থেকেও সাহায্য পান না মা-ছেলে । রেশন দোকান থেকে পাওয়া কিলো তিনেক চাল দিয়েই সারা মাস চালাতে হয় তাঁদের । একবেলা খাওয়ার হলেও এই চালে দু'জনের দু'বেলা খাওয়ার হয় না । তাই কখনও শাক পাতা আবার কখনও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে চেয়ে পেট ভরান তাঁরা । অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসাটুকুও করতে পারেননি মিলিনাদেবী ।

এই বেড়ার ঘরেই দিন কাটে মা-ছেলের

এবিষয়ে মিলিনা বারু জানান, বাড়িতে BPL থেকে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পেয়েছিলেন । তবে তার বিল দিতে না পারায় অনেক আগেই কেটে দিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ । বাড়িতে জলের কোনও কল নেই । রেশন থেকে সপ্তাহে দেড় থেকে তিন কিলো অবধি চাল পান । তাই দিয়ে চলে দু'জনের । এবিষয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু জানান, বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না । সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই প্রথম জানতে পেরেছেন । গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।

দেখুন ভিডিয়ো
Last Updated : Oct 18, 2019, 3:30 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details