ভাঙড়, 10 এপ্রিল : রমজান মাসে রোজা রেখে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া অত্যন্ত পবিত্র কাজ বলে মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "রমজান মাসে আমরা রোজা রাখি, ভালো কাজ করি। তার মধ্যে একটি ভালো কাজ হল BJP-র বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া। কারণ, তারা ধর্মে বিভেদ তৈরি করছে। তাই ওদের সরানো দেশের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ।" গতকাল ভাঙড় 1A ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদের উদ্যোগে ভাঙড় কলেজ মাঠে সভা হয়। ছিলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী, ফিরহাদ হাকিম, ভাঙড়ের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা, জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী।
মমতা মা দুর্গা, মোদি গব্বর : ফিরহাদ - firhad
ভাঙড় 1A ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজ়ার আহমেদের উদ্যোগে ভাঙড় কলেজ মাঠের সভায় মমতা ব্যানার্জিকে দুর্গা ও নরেন্দ্র মোদিকে গব্বর বলে কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরহাদ বলেন, "আমি খুব ভালো মানের ছাত্র ছিলাম না। অনেকের খাতা দেখে টুকে টুকে লিখতাম। কিন্তু এই প্রথম দেখলাম ভারতবর্ষের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে টুকলি করতে। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প 'বাংলা স্বাস্থ্য বীমা' যোজনা টুকলি করে 'বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও' প্রকল্প ও 'আয়ুষ্মান' প্রকল্প শুরু করেছেন। তিনি বলেন, "নরেন্দ্র মোদি বলছেন মমতা ব্যানার্জি স্পিডব্রেকার। আমি বলছি স্পিডব্রেকার কাকে বলে মোদিবাবু আপনি জানেন ? আপনার আগে আমরা বাংলায় যে প্রকল্পগুলি শুরু করেছি তাতে বাংলার মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। তাই আপনাদের কোনও প্রকল্প আমরা চাই না।"
তিনি আরও বলেন, "BJP-র কাছে গোরুর দাম আছে, মানুষের দাম নেই। সারা দেশে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। হিন্দু-মুসলিমকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে। হিন্দুরা অন্যত্র থেকে ভারতে এলে বলা হচ্ছে শরণার্থী। আর মুসলিমরা এলে বলা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী। মোদিজিকে দেখে দেশের মানুষ ভয় পান আর মমতা দিদি মানুষকে দেখে ভয় পান। দিদি সব সময় খোঁজ নেন,পঞ্চায়েত সদস্য, কাউন্সিলরদের। সাধারণ মানুষ খাদ্যসাথী পেয়েছে কি না, স্বাস্থ্যসাথী পেয়েছে কি না, বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে কি না এসবের খোঁজ নেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র মানুষকেই ভয় পান। "গব্বর" মোদি হাজার ভয় দেখিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু করতে পারবেন না। কারণ মমতার মধ্যে মা দুর্গার রূপ আছে। তাঁর সাথে 5 কোটি বাঙালি আছে। আবার BJP এলে, ভারতবর্ষে এক সম্প্রদায়ের মানুষকে মাথা নিচু করে থাকতে হবে। হয়তো রোহিঙ্গাদের মত একটা সম্প্রদায়কে এ দেশ থেকে বার করে দেওয়া হবে। তাই এসব রুখতে রাজ্যে 42-এ 42টি আসনে তৃণমূলকে জেতানো দরকার।"