বারুইপুর, 30 অগস্ট : ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে আঙুল উঁচিয়ে ধমক ৷ ডেস্ক বাজিয়ে হুঁশিয়ারি ৷ যিনি এই কাণ্ড ঘটচ্ছেন, তিনি রাজ্যের শাসকদলেরই এক নেতা ৷ তাঁর স্ত্রী আবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ৷ উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন ব্যাঙ্কেরই এক কর্মী ৷ কিন্তু নাছোড়বান্দা ওই ব্যক্তির তখন বেপরোয়া ৷ তাঁর কাণ্ডকারখানা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন ব্যাঙ্কেরই আর এক কর্মী। অভিযুক্তের নজর পড়ে সেই দিকে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যাঙ্ককর্মীর দিকে তেড়ে যান তিনি ৷ তাঁর হাত থেকে মোবাইল ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ৷ ব্যাঙ্ককর্মী নিজের মোবাইলটি ডেস্কের আড়ালে রেখে পিছিয়ে যান ৷ তাতে আরও তেতেফুঁড়ে ওঠেন হামলাকারী ৷ ব্যাঙ্ককর্মীর শার্টের কলার ধরার চেষ্টা করেন তিনি ৷ বেশ কয়েকটা চাপড়ও মারেন তাঁকে ৷ গোটা ঘটনা বন্দি হয়ে যায় ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরায় ৷ ঘটনাটি ঘটে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বারুইপুরের খাসমল্লিক শাখায় ৷ ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো ৷ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন পঞ্চায়েত সদস্য রাবিয়া বাঁশুরি এবং তাঁর স্বামী ওয়াইদুল রহমান।
আরও পড়ুন :টিএমসিপি নেতার দাদাগিরি ! মমতার সফরের মুখে অস্বস্তিতে দল
সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যাচ্ছে, ব্যাঙ্কের অন্য় কর্মীরা এগিয়ে আসায় শেষমেশ রক্ষা পেয়ে যান আক্রান্ত ব্যক্তি ৷ যদিও এই প্রসঙ্গে অন্য বক্তব্য রয়েছে অভিযুক্ত দম্পতির ৷ তাঁদের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাঙ্কে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় মহিলাদের ৷ রাজ্য সরকারি প্রকল্পের জন্য ব্যাঙ্কে অ্য়াকাউন্ট খুলতে গেলেও নানা অজুহাতে তাঁদের ও তাঁদের নাবালক সন্তানদের অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে না ৷ সেই বিষয়ে কথা বলার জন্যই গত বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তাঁরা ৷ ব্যাঙ্কের কর্মীরাই তাঁদের তিনটের সময় যেতে বলেছিলেন ৷ কিন্তু ব্যাঙ্কের তরফে কেউ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেননি ৷ উপরন্তু, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয় বলে অভিযোগ রাবিয়া ও ওয়াইদুলের ৷ তার জেরেই বাকবিতণ্ডা হয় ৷ তবে ব্যাঙ্ককর্মীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই দম্পতি ৷