মহেশতলার বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ মহেশতলা, 20 মার্চ: নোদাখালি, পাঁশকুড়ার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ মহেশতলার বাজি কারখানায় (Explosion at Maheshtala) ৷ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কারখানার মালিকের স্ত্রী-পুত্র ও এক প্রতিবেশী কিশোরীর ৷ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পৌঁছে যান ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী-সহ মহেশতলা এবং বজবজ থানার পুলিশ ৷ কারখানায় বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ৷ দমকল বিভাগের অধিকর্তা অভিষেক পাণ্ডে বলেন, "এখনও পর্যন্ত তিন জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ আর কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৷"
সোমবার বিকেল 5টা 45 মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণে শব্দে কেঁপে উঠল মহেশতলার নুঙ্গির মণ্ডলপাড়া। একটি বাজি তৈরির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩ জনের। মৃতরা হলেন কারাখানার মালিক ভরত হাতির স্ত্রী লিপিকা হাতি (52), ছেলে শান্তনু হাতি (22) ও প্রতিবেশি নাবালিকা আলো দাস (17) ৷ কারখানার মালিক ভরত হাতি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই মহেশতলার নুঙ্গি বাজি বাজারের ঝাউতলা পুটখালীর মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজির গোডাউনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের পরই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
দক্ষিণ 24 পরগনা ডিএফও টিকে দত্ত বলেন, "বাড়ির সঙ্গে বাজি তৈরির কারখানা ছিল ৷ মৃত তিন জনের মধ্যে বাড়ির লোক দুইজন ৷ আর একজন প্রতিবেশী৷ বাজি তৈরির কারখানা হলে এমনটা হওয়ায় স্বাভাবিক ৷ তবে এর কোনও লাইসেন্স ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে ৷" পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহেশতলার নুঙ্গি বাজি বাজারের ঝাউতলা পুটখালির মণ্ডলপাড়ায় একটি বাজির গোডাউনে আচমকাই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে ৷ চোখের নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়েই স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ দমকলে খবর দেওয়া হলেও, স্থানীয়রাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ৷
দমকলকর্মীদের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে গোডাউনের ভিতরে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় 3 জনের। ইতিমধ্যে পোড়া দেহগুলি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও এই অসময়ে বাজি কারখানাটি ঠিক কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার সময় গোডাউনের ভিতর কয়েকজন ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি ৷ হঠাৎ করে বিস্ফোরণ ঘটার পরই বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় তাঁরা কেউ আর বেরোতে পারেননি। ফলে গোডাউনের ভিতরেই আগুনে ঝলসে যান তাঁরা। বাজি গোডাউনে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মহেশতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে।