যাদবপুর, 22 মার্চ : রাজ্যের লোকসভা আসনগুলির মধ্যে যাদবপুর কেন্দ্র একটি উল্লেখযোগ্য আসন। এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা আঠারো লাখ দুই হাজার দুশো চৌত্রিশ জন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। অন্যদিকে তাঁকে টেক্কা দিতে বামেদের তরফে ভোটের ময়দানে CPI(M)-এর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে শেষ হাসি কে হাসবেন তা অবশ্য সময়ই বলবে। রাজ্যে শাসকদলের মূল বিরোধী BJP হলেও যাদবপুর আসনে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্যই CPI(M)। এমনই রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হয়েছিল ETV ভারত।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। সেখানে দাঁড়িয়ে আপনার লড়াই কেমন হবে বলে মনে করেন?
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য- "এক, যাদবপুর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে আমি মনে করি না। দুই, তৃণমূল যে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল, একটি স্বৈরাচারী দল এটা বিগত কয়েকবছরে সাধারণ স্কুলের ছেলেমেয়েরাও জেনে গেছে। সে দিক থেকে ওদের কোনও আবেদন মানুষের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি মনে করি না। সেইজন্য লড়াইটা আমরা খুব যত্নের সঙ্গে করছি। এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব। এই প্রত্যয় আছে।"
আপনার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী একজন তারকা। কীভাবে নিচ্ছেন তাঁকে?
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য- "এখানে ব্যক্তি কোনও ব্যাপার নয়। আমার, বামফ্রন্টের ও সেইসঙ্গে CPI(M)-এর যুদ্ধ দু'টি দুর্নীতিগ্রস্ত দলের বিরুদ্ধে। একটা BJP এবং আর একটা তৃণমূল। সুতরাং আমাদের লড়াইটা দুর্নীতি এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান রক্ষার পক্ষে। আমরা বিষয়টা সেভাবেই দেখি। আমরা কোনও ব্যক্তি বা কারো সম্পর্কে আলোচনা করি না।"
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে বারবার আন্দোলন হয়েছিল। আপনিও বহুবার আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যারা এই পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তারা কি আপনাকে সমর্থন করবে? আপনি কি মনে করেন?
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য- "আমি আশা করি যাঁরা লড়াই করেছেন তাঁরা নিঃসন্দেহে আগামী দিনে একটা বড় লড়াইয়ে আমাকে সাহায্য করবেন। এটা আমার বিশ্বাস।"
সাতটা বিধানসভা নিয়ে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। কোন বিধানসভা থেকে বেশি ভোট পাবেন বলে আপনার মনে হয়?
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-"ভোটের ময়দানে নেমেছি। অনেক নির্বাচনী প্রচার হবে। আগামী দু'মাসের মধ্যে অনেক নতুন নতুন পরিস্থিতি তৈরি হবে। তার উপরে নির্ভর করবে ভোটাররা কাকে ভোট দেবে। এত আগে থেকে এইসব আন্দাজ করা যায় না।"
কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে আপনি ভোটারদের কাছে যাবেন?