ডায়মন্ড হারবার, 20 জুলাই: অপেক্ষার অবসান! রসনাতৃপ্তিতে বাঙালির নাগালের মধ্যে ইলিশ। বেশ কয়েক বছর ধরে বাঙালির নাগালের বাইরেই ছিল ইলিশ। জোগান কম থাকায় দামও ছিল আকাশছোঁয়া। তবে চলতি বছর আবহাওয়া এখন যথেষ্টই অনুকূল। তাই মৎস্যজীবীদের জালে উঠল টন টন ইলিশ। মরশুমের শুরুতেই এত ইলিশ ধরা পড়ায় আশার আলো দেখছেন মৎস্যজীবীরা। গত তিন-চারদিনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি ও ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যজীবীরা জালবন্দি করেছেন প্রচুর ইলিশ। সমুদ্রফেরত ট্রলারে টন টন ইলিশ ভিড়েছে উপকূলীয় বন্দরগুলিতে। মৎস্যজীবী মহল্লায় তাই খুশির রোশনাই।
মরশুমের প্রথম ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পর্যন্ত গত তিনদিনে কাকদ্বীপ ও নামখানা মৎস্যবন্দরে 450-500 টন ইলিশ ঢোকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, গভীর সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসায় মৎস্যজীবীরা এবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। হালকা বৃষ্টি এবং পূবালি হাওয়া সমুদ্রে ইলিশ প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী কয়েকদিনে আরও ইলিশ জালবন্দি করা সম্ভব হবে মৎস্যজীবীদের পক্ষে। যা আগামী কয়েকবছরের খরা কাটাতে পারবে বলে মনে করছেন তিনি।