কুলতলি , 1 জুন : যশের তাণ্ডব ও ভরা কোটালের জেরে বানভাসি কুলতলির একাধিক এলাকার ৷ কুলতলির ময়রাচক, দেউলবাড়ি, গোপালঞ্জ, কৈখালী, শ্যামনগর, দেবীপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও পর্যন্ত জল থইথই ৷ যশের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে স্থানীয়দের ঠাঁই হয়েছে স্থানীয় ত্রাণ শিবিরে ৷ সেখান থেকে তাঁরা রোজ একবার আসেন জলে ডুবে যাওয়া বাড়ি দেখতে ৷ প্রতিদিনই জোয়ারের জল ঢুকছে গ্রামগুলিতে ৷ কিন্তু যশের এক সপ্তাহ কেটে গেলেও গ্রামগুলির হাল ফেরেনি ৷
এখনও বাড়ির উঠোন জলমগ্ন ৷ হাঁটু সমান কাদা ৷ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বাড়ির সব জিনিসপত্র ৷ ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই হলেও মিলছে না স্বস্তি ৷ এলাকাজুড়ে নোনা জল অন্যত্র ফেলারও কোনও উপায় নেই ৷ কারণ লোকবল নেই ৷ অন্যদিকে সরকারের তরফেও সেভাবে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন জয়দেব মুখ্যোপাধ্যায় , গিয়াসউদ্দিন গাজির মতো গ্রামবাসী ৷ জয়দেব মুখ্যোপাধ্যায় বললেন, "জলের তোড়ে সব ভেসে গিয়েছে ৷ আমাদের ঘরের চারদিকে জল ৷ অন্যদিকে রোজই জোয়ারের জল ঢুকছে গ্রামে ৷ আমাদের আর কিছু রইল না ৷ " সরকার থেকে জল সরানোর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত তো সেভাবে প্রশাসনের তরফে কেউ এগিয়ে আসেনি ৷ তবে ত্রাণ শিবিরে আমাদের খেতে দেওয়া হয় ৷ যশের পরপর সরকারের তরফে শুকনো কিছু খাবার দেওয়া হয় ৷ ব্যস ওইটুকুই ৷ "