সাঁইথিয়া, 1 নভেম্বর: ব্যস্ত রাস্তায় ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে খুনের চেষ্টা ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ছাত্রীকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।
বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার ওলকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা আয়েশা খাতুন। সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে ৷ জানা গিয়েছে বুধবার বিকেলে কলেজ শেষে বাড়ি ফিরছিল সে। সেই সময় সাঁইথিয়ার তালতলা মোড়ের কাছে এক যুবক বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল ৷ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকটি পথ আটকায় ছাত্রীটির ৷ বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয় ৷ এরপরেই যুবকটি বাইকের বাস্কেট থেকে ধারালো কাটারি বের করে ছাত্রীটির উপর এলোপাথারি চালাতে থাকে ৷ ছাত্রীর হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে।
রক্তাক্ত অবস্থায় আয়েশা রাস্তার পাশের একটি দোকানে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেয় ৷ জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে কাটারির ঘায়ে জখম হয়েছেন দোকানদারও ৷ ছাত্রীকে এরপর সিউড়ি সদর হাসপাতালে ও আহত দোকানদারকে সাঁইথিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম নাজিবুল হক ৷ ছোটতুড়ি গ্রামে আয়েশার বাড়ি ৷ প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে প্রণয় সম্পর্ক ছিল ছাত্রীর ৷ কিন্তু সম্পর্কের অবনতি থেকেই অশান্তি শুরু হয় ৷ তবে সাঁইথিয়ার প্রকাশ্য রাস্তায় ছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।