বোলপুর, 17 নভেম্বর: ‘‘বিশ্বভারতী রাহুমুক্ত হল, পরিবেশ বিধি মেনে পৌষমেলা হোক’’, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে 10 হাজার টাকা অনুদান দিয়ে একথা বললেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত ৷ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, প্রাক্তন উপাচার্য পরিবেশ আদালতের দোহাই দিয়ে মেলা বন্ধ করেছিলেন । পরিবেশ আদালত কখনও মেলা বন্ধ করতে বলেনি ৷ তবে সুভাষ দত্তর অভিযোগ, "বিশ্বভারতীর কাছে পরিবেশ রক্ষার কোনও পরিকাঠামোই নেই, এটা গুরুত্বপূর্ণ ।"
এ দিন বোলপুরের একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত । পৌষমেলা পরিচালনার জন্য তিনি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের সঙ্গে দেখা করে আরজি জানান ৷ পাশাপাশি, ট্রাস্টকে 10 হাজার টাকা অনুদানও দেন তিনি ৷ এছাড়া, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেও একটি চিঠি দেন সুভাষ দত্ত । তাতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, জাতীয় পরিবেশ আদালত, ইজেড বেঞ্চের গঠিত কমিটি প্রয়োজনে এবারের আয়োজিত পৌষমেলায় দূষণ রুখতে সহযোগিতা করবে । তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে দূষণ রোধের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি ।
উল্লেখ্য, পৌষমেলায় দূষণ হওয়ার অভিযোগ তুলে 2016 সালে পরিবেশ আদালতে একটি মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত । মেলায় কাঠ বা কয়লার উনুন জ্বালানো যাবে না, প্ল্যাস্টিক বর্জন, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন, জলের ছেটানোর ব্যবস্থা-সহ একাধিক দূষণ বিধি বেধে দিয়েছিল পরিবেশ আদালত । সেই মতো চলছিল মেলা । কিন্তু বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্বভারতীর উপাচার্য থাকাকালীন 2019 সালে শেষবার পূর্বপল্লী মাঠে হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা ।