শান্তিনিকেতন, 18 সেপ্টেম্বর: কবিগুরুর শান্তিনিকেতন 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। 'আমি আনন্দিত। আমাদের অনেক দায়িত্ব বর্তায়', বললেন ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ইউনেসকো' থেকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানের তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন।
2010 সালে শান্তিনিকেতন আশ্রমকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতো 2021 সালের 26 অক্টোবর 'দ্য ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশান্যাল সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অরগানাইজেশান'-এর 7 সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে। সঙ্গে এসেছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকরাও। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন গৃহ, তালধ্বজ, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, আম্রকুঞ্জ, রবীন্দ্রভবন, সিংহ সদন, রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য, কালো বাড়ি, উপাসনা গৃহ প্রভৃতি ঘুরে দেখেছিলেন ৷
3 কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন ও স্থাপত্য, ভাস্কর্যগুলি। সৌদি আরবে 10 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ইউনেসকো'র সমাবেশ। সেখান থেকেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' বা 'বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান' তকমা দিয়েছে ইউনেসকো। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের মুকুটে নতুন পালকে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা ৷ আপ্লুত অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। এই সম্মান প্রাপ্তিকে 'আনন্দের দিন' বললেন ঠাকুর পরিবারের অন্যতম সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর।