বোলপুর, 17 ফেব্রুয়ারি: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখিত দলিল ব্যবহার করে জমিদখল এবং পুকুর ভরাটের (Pond Filling Allegation) অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাস্থল, বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর ৷ তবে, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করেন দেন বোলপুরের মহকুমাশাসক ৷ ঘটনার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ৷ যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনেই এই জমি কিনেছেন ৷ এমনকী, সেই জমিতে কোনও পুকুর থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি ৷ এদিকে, বাংলার ভূমি অ্য়াপে এই জমি এখনও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের নামে রেকর্ড হয়ে রয়েছে !
অভিযোগ, পুকুর ভরাটের কাজ করছিলেন হিমাদ্রী সাহা নামে এক ব্যক্তি ৷ তাঁর কাছে 1935 সালের একটি দলিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন হিমাদ্রী ৷ তাঁর দাবি, যে 'জমি বা পুকুর' নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটি আলিমা বিবির নামে এক মহিলার কাছ থেকে কিনেছিলেন পারুল সেন নামে এক মহিলা ৷ তিনি অমর্ত্য সেনের আত্মীয় ৷ বর্তমানে হিমাদ্রী নিজে সেই জমির মালিক বলে দাবি করছেন ৷ তিনি নাকি পারুল সেনের পরিবারের কাছ থেকে এই জমি কিনেছেন ৷ এবং তাঁর দাবি, ওই জমিতে কোনও পুকুর বা জলাশয় নেই ৷
আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সঠিক হলে উপাচার্যর ক্ষমা চাওয়া উচিত, অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মন্তব্য অনুপমের