পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Pond Filling Allegation: কবিগুরুর নাম লেখা দলিল ব্যবহার করে পুকুর ভরাটের অভিযোগ - বীরভূম

বীরভূমের বোলপুরে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ (Pond Filling Allegation) উঠল ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই কাজের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখিত দলিল ব্যবহার করা হয়েছে ৷

Pond Filling Allegation in Birbhum by using document related to Rabindranath Tagore
আপাতত বন্ধ পুকুর ভরাটের কাজ

By

Published : Feb 17, 2023, 4:46 PM IST

পুকুর ভরাটের অভিযোগ

বোলপুর, 17 ফেব্রুয়ারি: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখিত দলিল ব্যবহার করে জমিদখল এবং পুকুর ভরাটের (Pond Filling Allegation) অভিযোগ উঠল ৷ ঘটনাস্থল, বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর ৷ তবে, বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করেন দেন বোলপুরের মহকুমাশাসক ৷ ঘটনার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ৷ যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তির দাবি, তিনি যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনেই এই জমি কিনেছেন ৷ এমনকী, সেই জমিতে কোনও পুকুর থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি ৷ এদিকে, বাংলার ভূমি অ্য়াপে এই জমি এখনও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের নামে রেকর্ড হয়ে রয়েছে !

অভিযোগ, পুকুর ভরাটের কাজ করছিলেন হিমাদ্রী সাহা নামে এক ব্যক্তি ৷ তাঁর কাছে 1935 সালের একটি দলিল রয়েছে বলে দাবি করেছেন হিমাদ্রী ৷ তাঁর দাবি, যে 'জমি বা পুকুর' নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটি আলিমা বিবির নামে এক মহিলার কাছ থেকে কিনেছিলেন পারুল সেন নামে এক মহিলা ৷ তিনি অমর্ত্য সেনের আত্মীয় ৷ বর্তমানে হিমাদ্রী নিজে সেই জমির মালিক বলে দাবি করছেন ৷ তিনি নাকি পারুল সেনের পরিবারের কাছ থেকে এই জমি কিনেছেন ৷ এবং তাঁর দাবি, ওই জমিতে কোনও পুকুর বা জলাশয় নেই ৷

আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সঠিক হলে উপাচার্যর ক্ষমা চাওয়া উচিত, অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মন্তব্য অনুপমের

অথচ শিখা মাঝি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমাদের এখানেই জন্ম, এখানেই বড় হওয়া ৷ জন্ম থেকেই দেখছি, এখানে পুকুর রয়েছে ৷ গত কয়েক দিন ধরে দেখছি, মাটি ফেলে সেই পুকুর ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে ৷ যদিও কে, কারা এসব করছেন জানি না ৷"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখিত দলিল

এই প্রেক্ষাপটে বিষয়টি নিয়ে বোলপুরের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বকুল ঘড়ুই নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৷ তিনি গোটা ঘটনার জন্য বিশ্বভারতীকেই দায়ী করেছেন ৷ তবে, অন্য একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ গিয়েছে ৷ তারপরই সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷

অন্যদিকে, নিজেকে জমির মালিক বলে দাবি করা হিমাদ্রী সাহা বলেন, "আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ৷ আমি এই জমির রেকর্ড দেখেছি ৷ তাতে এই জমি ডাঙা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেন পরিবারের কাছ থেকে এই জমি কিনেছি আমি ৷ সমস্ত কাগজপত্র সঠিক আছে ৷ আমি কোনও জলাশয় ভরাট করছি না ৷" প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ নতুন কিছু নয় ৷ তবে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম উল্লেখিত দলিল দেখিয়ে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ আগে কখনও ওঠেনি ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details