পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

নানুরে CPI(M) নেতাকে টুকরো টুকরো করে কুপিয়ে খুন - রাজনীতি

দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে দুটি বস্তায় ভরা হয় । তারপর একটি বস্তা দুবরাজপুরে একটি নদের চরে ফেলা হয় । আর একটি বস্তা বাঁশ বাগানে ফেলে আসা হয় । আজ সেই বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার করল নানুর থানার পুলিশ ।

সুভাষচন্দ্র দে

By

Published : Oct 21, 2019, 12:41 PM IST

Updated : Oct 21, 2019, 12:54 PM IST

নানুর, 21 অক্টোবর : তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল CPI(M) নেতার বস্তাবন্দী মৃতদেহ । নাম সুভাষচন্দ্র দে(58) । তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করে কেটে দুটি বস্তায় ভরা হয় । তারপর একটি বস্তা দুবরাজপুরে একটি নদের চরে ফেলা হয় । আর একটি বস্তা বাঁশ বাগানে ফেলে আসা হয় । এই দুটি বস্তা আজ নানুর থানার পুলিশ উদ্ধার করে । এই ঘটনায় সোনালি বিবি ও মতিউর রহমান নামে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন করা হয়েছে সুভাষবাবুকে ।

নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় সক্রিয় নেতা ছিলেন সুভাষচন্দ্র দে । 18 অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন । নানুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন সুভাষবাবুর ভাই লক্ষ্মীন্দর দে । তারপর থেকেই তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ । আজ তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুবরাজপুরের খোয়াজ মামুদপুরের বাসিন্দা সোনালি বিবির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুভাষবাবুর । তার জেরেই এই খুন ।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিবির সঙ্গে সুভাষবাবুকে দেখতে পায় মতিউর রহমান । তাতেই রাগে প্রথমে লোহার রড দিয়ে সুভাষবাবুর মাথায় আঘাত করে মতিউর । তারপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে দুটি বস্তায় ভরে । দেহ লোপাট করতে একটি বস্তা দুবরাজপুরের অজয় নদের চরে ফেলা হয় । আর একটি বস্তা ফেলা হয় সুভাষবাবুর বাড়ির কাছের একটি বাঁশ বাগানে ।

অনেকের অভিযোগ, সুভাষবাবুর মৃত্যু রাজনৈতিক খুনও হতে পারে । কারণ নানুরের সুচপুর গণহত্যা মামলায় নাম জডিয়েছিল তাঁর । পরে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি । তাই সুভাষবাবুর মৃত্যুর পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কই দায়ি না কি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ লুকিয়ে আছে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ ।

Last Updated : Oct 21, 2019, 12:54 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details