বোলপুর, 4 নভেম্বর: ফের অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আব্দুল কেরিম খানকে জেরা করল সিবিআই । এছাড়া, দুই লটারি কাউন্টারের মলিক-সহ ইলামবাজারের এক তৃণমূল নেতাকে শুক্রবার জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা । এদিন দিনভর একাধিক জনকে বিশ্বভারতীর রতনকুঠি গেস্ট হাউসে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে ডেকে জেরা করা হয় ৷ কালো টাকা সাদা করতে অনুব্রতর হাতিয়ার লটারির টিকিট ছিল কি না, তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা (CBI probe in cattle smuggling case)৷
লটারিতে টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টারও স্যোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল সংশ্লিষ্ট লটারি সংস্থা ৷ গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই অফিসারেরা জানতে পারেন সে কথা ৷ তাই এদিন বোলপুরে 'রাহুল লটারি এজেন্সি' নামক একটি দোকানে যান গোয়েন্দারা। পরে ক্যাম্প অফিসে যাবতীয় তথ্য নিয়ে লটারি এজেন্সির মালিক শেখ আইনুলকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরেক সাব লটারি কাউন্টারে মালিকের খোঁজ মেলে ৷ তাঁকেও ক্যাম্প অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা (CBI probe to find information about Anubrata Mondal connection with )৷
লটারি এজেন্সির দুই মালিক অবশ্য জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল লটারির টিকিট কাটেননি ৷ অন্য কোনও এক ব্যক্তি লটারিতে 1 কোটি টাকা পেয়েছিলেন ৷ তার কাছ থেকেই কি পরে লটারি টিকিটটি কিনে নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ? কালো টাকা সাদা করতেই কি লটারি টিকিট হাতিয়ার ছিল এই তৃণমূল নেতার ? তিনি কি নিয়মিত লটারি টিকিট কাটতেন ? নাকি লটারি এজেন্সির মালিকদের সঙ্গে কোনও আতাঁত ছিল তাঁর ? মূলত এই তথ্যগুলি জানতেই তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা । এমনটাই সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে ।