বোলপুর, 27 জানুয়ারি: জমি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen on Land Controversy) ৷ জবাব দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) তোলা দখলদারির অভিযোগের ৷ তবে, উপাচার্য যেভাবে প্রবীণ অর্থনীতিবিদকে বেনজির আক্রমণ করেছেন, তার কোনও জবাব দেননি অমর্ত্য ৷ বদলে তাঁর মুখে দেখা গিয়েছে অনাবিল হাসি ! যদিও এরই মধ্যে ফের একবার বিশ্বভারতীর তরফ থেকে অমর্ত্য সেনকে চিঠি পাঠানো হয় ৷ তাতে তাঁকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, হয় অমর্ত্য 'দখল করে রাখা' 13 ডেসিমেল জমি বিশ্বভারতীকে ফেরত দিন ৷ আর তা না-হলে এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে ৷
জমি বিতর্কে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ:
বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দাবি ছিল, অমর্ত্য সেনের পরিবারকে বিশ্বভারতীর তরফে যে জমি দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে অতিরিক্ত 13 ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন সেন পরিবারের সদস্যরা ৷ যা আদতে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি ৷ অমর্ত্যকে চিঠি পাঠিয়ে সেই 13 ডেসিমেল জমিই ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বিদ্যুৎ ৷
জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের জবাব:
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জমি নিয়ে যে দাবি করেছেন, তার জবাবে শুক্রবার অমর্ত্য জানান, এটা ঠিক যে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে তাঁর পূর্বপুরুষকে জমি দান করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তীকালে সেই জমির লাগোয়া আরও কিছুটা অংশ কিনে নেন অমর্ত্য সেনের বাবা ৷ বর্তমানে শান্তিনিকেতনে প্রতীচী নামে সেন পরিবারের যে বাড়ি রয়েছে, তার চৌহদ্দির মধ্যে উল্লেখিত দুই পর্যায়ের সমস্ত জমিই রয়েছে ৷ অর্থাৎ, এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে জমি দখলের অভিযোগ কার্যত অস্বীকার করেছেন অমর্ত্য ৷
আরও পড়ুন:'অমর্ত্য সেন নোবেলজয়ী নন !' ফের বিস্ফোরক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
নোবেল নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি: