বিষ্ণুপুর, 11 সেপ্টেম্বর : রংবাহারি মখমলি শাড়ির আঁচলে নিপুণ কাজ ৷ রাজা, মহারাজা, রামায়ণ বা মহাভারতের গল্প সাহেব-সুবো, ঐরাবত, ঘোড়া, কৃষ্ণ-রাধার চিত্র আঁকা ৷ কোথাও আবার আদিবাসীদের নৃত্য ৷ বাংলার তাঁতশিল্পের জাদুকরি সৃষ্টি হল বালুচরী ৷ আভিজাত্যের আরও এক নাম ৷ যেখানে নারীদেহপটে লুটোপুটি খায় শত শত বছরের কাহিনী ৷ সেই বালুচরীই এবার অন্য রূপে ৷ ভিন্ন নামে ৷ যেখানে শিল্পীর হাতে ফুটে উঠেছে মানবিকতা ৷ নিজভূমের হারিয়ে যেতে বসা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা ৷
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্লগড়ের নামকরা বালুচরী শিল্পী অমিতাভ পাল ৷ গত দেড় দশক ধরে বালুচরীতে অভিনবত্ব এনেছেন তিনি ৷ পুজোর আগে এবারও বালুচরী শাড়িকে একটু অন্যভাবে সাজিয়ে তুলছেন অমিতাভবাবু ৷ এই করোনা পরিস্থিতিতে ধুঁকছে বাঁকুড়ার হস্তশিল্পগুলি ৷ পর্যটকের আনাগোনা না থাকায় লন্ঠন, গামছা, শঙ্খশিল্পীরা অথৈ জলে পড়েছেন ৷ বিলুপ্তির পথে এগোনো এইসব হস্তশিল্পকে বালুচরী শাড়িতে স্থান দিয়েছেন শিল্পী অমিতাভ পাল ৷ ডোকরা, হ্যান্ডলুম গামছা, লন্ঠন, টেরাকোটা, শঙ্খ এবং হাতে গড়া বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের দশাবতার তাসকে ফুটিয়ে তুলেছেন । এই হস্তশিল্পগুলি সুতোর বুনোটে বালুচরীতে স্থান দিয়ে নামকরণ করেছেন 'কারুকলা' ।