কলকাতা, 3 অক্টোবর: পুরনো আবেগ সরিয়ে পেশাদারি মানসিকতায় কান্তিরাভায় বিপরীত ডাগ-আউটে বসবেন কার্লেস কুয়াদ্রাত ৷ বুধবার আইএসএলের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে মঙ্গলবার দুপুরে বেঙ্গালুরু উড়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ৷ ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে লাল-হলুদ ড্রেসিং রুমে প্রবেশের আগে কার্লেস কুয়াদ্রাতের ঠিকানা ছিল বেঙ্গালুরু এফসি ৷ বাগিচা শহরের ক্লাবের হয়ে সাফল্য তাঁকে এই দেশের ফুটবলে পরিচিতি দিয়েছে ৷ ফলে তিনি যে আবেগতাড়িত, তা মানছেন ৷
এই ব্যাপারে তাঁর ফুটবলার জীবনে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে এসেছেন ৷ 21 বছর আগে সেই পর্বে পেশাদারি মনোভাব সাহায্য করেছিল তাঁকে ৷ এবারও একই দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে সামলাচ্ছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত ৷ শুধু তিনি নন, বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দলে বেঙ্গালুরু এফসি'র প্রাক্তনী কম নেই। ক্লেইটন সিলভা, নিশু কুমার, হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা রয়েছেন ৷ পুরনো দলের বিরুদ্ধে নামার আগে তাঁরাও আবেগ সরিয়ে পেশাদার মনোভাব নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে চোখ রাখছেন ৷
হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জয় পুরো দলকে তাতিয়ে দিয়েছে ৷ ক্লেইটন সিলভা প্রথমবার পুরো ম্যাচ শুধু খেলেছেন তা নয়, জোড়া গোলও করেন ৷ তবুও তিনি একশো শতাংশ ফিট কি না, সংশয় রয়েছে ৷ ইতিমধ্যে এশিয়াডে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার পর লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দিয়েছেন লালচুংনুঙ্গা ৷ জর্ডনের জাতীয় দলের ডিফেন্ডার হিজাজি মাহের অনুশীলন শুরু করেছেন ৷ দলের সঙ্গে এদিন বেঙ্গালুরু উড়েও গেলেন তিনি ৷
আন্তোনিও পার্দোকে পাশে নিয়ে কার্লেস কুয়াদ্রাত বলছেন, “বেঙ্গালুরু গত মরশুমের ফাইনালিস্ট দল ৷ তিনটে ফাইনাল খেলেছিল ৷ ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ৷ ওদের ঘরের মাঠে খেলা ৷ তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে ৷ তবে, আমাদের চেয়ে ওদের উপর চাপ বেশি ৷” প্রাক্তন আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা গত দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের নিরিখে মোটেই স্বস্তিতে নেই ৷ সাইমন গ্রেসন তাঁর প্রথম দুই ম্যাচে পরাজিত ৷ শেষ ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে হারের চেয়েও বেশি সুরেশ সিং এবং মওরেম রোশন সিংয়ের লাল কার্ড দেখা সমস্যা বাড়িয়েছে ৷ সুনীল ছেত্রী এশিয়ান গেমস থেকে ফিরলেও তিনি অতীতের ছায়া ৷ গত মরশুমে পরিবর্ত হিসেবে নামতেন ৷ তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে ? তা সাইমন গ্রেসনের চিন্তার উপর নির্ভর করবে ৷