মাদ্রিদ (স্পেন), 2 জুন : স্বপ্নজয়ের রাত । তখন উচ্ছ্বাস মধ্যগগনে । গ্যালারিতে "ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালন" গেয়ে চলেছেন সমর্থকরা । খেলোয়াড়রা উচ্ছ্বসিত । কে কী করবেন যেন বুঝতেই পারছেন না । এ ওর দিকে ছুটে যাচ্ছেন । সালাহকে ধরে কোলে তুলে নিলেন ওরিগি । ম্যাচের দুই গোলদাতা বলে কথা । কিন্তু, একজন তখনও নিশ্চুপ । মাথায় টুপি । চোখে চশমা । মুখে আলতো হাসির ছোঁয়া । মনে মনে যেন বলছেন, "করে দেখিয়েছি ।"
প্রতিপক্ষ কোচের পিঠ চাপড়ে দিলেন একবার । বলতে চাইলেন, "ওয়েল প্লেড । হয়তো এবার হয়নি । পরে হবে ।" দলের খেলোয়াড়দের কাছে গেলেন । একে একে জড়িয়ে ধরলেন । স্মিত হাসি হেসে বুঝিয়ে দিলেন আজ ক্লপ খুশি । রাতের ঘুমটা অন্তত নিশ্চিন্তে হবে ।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে জার্মানি থেকে এসেছিলেন । অচেনা, অজানা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ফুটবলের মূলমন্ত্রে ফেরানোর কারিগর যে তিনিই । সেখান থেকে লিভারপুল । যাত্রাটা সহজ নয় । এমনিতে ব্রিটিশদের সঙ্গে জার্মানদের সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা বলার অপেক্ষা রাখে না । তাও দায়িত্ব নিয়েছিলেন 2015-তে । কথা দিয়েছিলেন "বদলে দেওয়ার ।" প্রথম তিন মরশুম তিনি ব্যর্থ । বারবার তিরে এসে তরী ডুবেছে । এবারও প্রিমিয়ার লিগ হারালেন অল্পের জন্য । কিন্তু, যুরগেন ক্লপ যে জার্মান । আর জার্মানরা যে হারতে শেখেনি । তাই, ভরসা জুগিয়ে যাচ্ছিলেন খেলোয়াড়দের । বলছিলেন, "এখনও সুযোগ আছে । কিছু করে দেখাও । সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাও ।" পারলেন ক্লপ পারলেন ।