কলকাতা,16 এপ্রিল: প্রতিবছরের মতো পয়লা বৈশাখের বারবেলায় বারপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল ময়দানে। এবারও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, ভবানীপুর ক্লাব, উয়াড়ি ইউনাইটেড স্পোর্টস এই বারপুজোর আয়োজন করেছিল।
জৌলুস কমলেও প্রথা মেনে বারপুজো ময়দানে
প্রথা অনুযায়ী ময়দানে বারপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল।
আগে প্রথা মেনে বারপুজোর দিন নতুন মরসুমের দল ঘোষণা করা হত। নতুন অধিনায়ক আগামী মরসুমের জন্য পুজোয় অংশ নিতেন। কিন্তু এখন ফুটবলের মরসুম বদল হয়েছে। ফলে এখন আর নতুন দল গঠনের খবর ও নতুন অধিনায়কের নাম বারপুজোর দিনে ঘোষণা করা হয় না। তা সত্ত্বেও বারপুজো আজও দুই প্রধানের সদস্য ও সমর্থকদের কাছে আকর্ষণ ও আবেগের। তাই সকাল থেকে ময়দানে ছিল উৎসবের আবহাওয়া। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বারপুজোয় অংশ নিয়েছিলেন ব্র্যান্ডন। উপস্থিত ছিলেন দলের অন্য সদস্যরা। এবার অবশ্য বোরহা, টনি ডোভাল, জনি অ্যাকোস্টা প্রথমবার বারপুজোয় অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়াও। তিনিও এই ফুটবল আবেগ দেখে রীতিমতো বিস্মিত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবজিৎ ঘোষ, অলোক মুখার্জি, কৃষ্ণেন্দু রায়, ভাস্কর গাঙ্গুলি, রঞ্জিত মুখার্জির মতো প্রাক্তনীরাও। যদিও মনে করা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও তার বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে প্রচ্ছন্ন মনোমালিন্য হয়তো প্রকাশ পাবে। কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছরে ইস্টবেঙ্গল ও কোয়েস অবস্থানে কোনও ফাটলের চিহ্ন নেই।
অন্যদিকে মোহনবাগানের বারপুজোয় বসেছিলেন কিংসলে। উপস্থিত ছিলেন ডিপান্ডা ডিকা, ইউটা কিনোয়াকি। মোহনবাগানের বারপুজোয় কর্তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে গত কয়েকবছরের তুলনায় এবারের বারপুজোর জৌলুস বেশ কিছুটা হলেও কম।