হায়দরাবাদ, 8 অক্টোবর: 2011 সালে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর ৷ ওই বিশ্বকাপেই ক্রিকেট উৎসবের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন বিরাট কোহলি ৷ পরের বিশ্বকাপ 2027 সালে, কোহলির বয়স হবে 39 ৷ চলতি বিশ্বকাপ বিরাটের সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ ৷ 2011 সালের ঘরের মাঠে বিশ্বজয় করেছিল টিম ইন্ডিয়া, বিরাটও ৷ এক যুগ পরে সেই ইতিহাসই ফিরিয়ে ক্রিকেট উৎসবকে বিদায় জানাতে বদ্ধপরিকর বিরাট ৷
বিরাটের সেই ‘বদ্ধপরিকর’ মানসিকতার সঙ্গেই ফের পরিচিত হল ক্রিকেটবিশ্ব ৷ ঈশান কিষাণ, রোহিত শর্মা, শ্রেয়স আইয়ার ৷ প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারের মিলিত স্কোর শূন্য ৷ 200 রান তাড়া করতে নেমে রীতিমতো কোণঠাসা ‘মেন ইন ব্লু’ ৷ ঠিক সে সময়ে বাইশ গজে এলেন তিনি ৷ শুধু এলেনই না, দেখলেন এবং জয়ও করলেন ৷ বলা ভালো, জয়ের ভিত গড়ে দিলেন ৷ যেরকমটা করেন আরকি ! কথায় বলে, 'মর্নিং শোজ দ্য ডে' ৷ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বিশ্বজয়ের আশা যেন চাগিয়ে দিল কোহলির ‘বিরাট’ ব্যাট ৷
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত 27 ইনিংসে কোহলির সংগ্রহ 1115 রান ৷ গড় 48.47, সেঞ্চুরির সংখ্যা 2 ৷ সর্বোচ্চ রানের নিরিখে 10 নম্বরে রয়েছেন 'কিং কোহলি' ৷ আর 111 রান করলেও ওই তালিকায় 4 নম্বরে পৌঁছে যাবেন তিনি ৷ টপকে যাবেন ব্রায়ান চার্লস লারা, সনৎ জয়সূর্যদের ৷ চিপকে সেই ইঙ্গিতটাই এদিন দিয়ে রাখলেন ‘মেন ইন ব্লু’র রানমেশিন ৷ কোহলির এদিনের 116 বলে 85 রানের ইনিংস সাজানো 6টি চারে ৷ শুরুতেই ক্যাচ তুলেছিলেন ৷ পুল মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগেছিল বল ৷ যেই ক্যাচ ফেলে দেন মিচেল মার্শ ৷ প্রায় 100 বল খেলার পর ফের ক্যাচ তুলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ৷ কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরিটা মাঠে রেখে এলেন বিরাট ৷
মাঝের সময়টা বিরাটকে নির্ভুল এবং কপিবুক ক্রিকেট খেলতে দেখল চিপক ৷ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ার বদলে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিলেন দলকে ৷ অহেতুক ঝুঁকি নিলেন না ৷ তিন উইকেট চলে যাওয়ার পর স্ট্রাইক-রোটেট করে বোলারদেরও মাথার উপর চেপে বসতে দেননি দু'জনেই ৷ আপাত সহজ ম্যাচ কঠিন হয়ে যাওয়ার পর ধরা দিলেন ভিন্টেজ বিরাট ৷ যিনি শুধু ক্রিকেটীয় প্রতিভাই নয়, মাঠে রাজত্ব করেন আগ্রাসন ও পরিণতবোধকে হাতিয়ার করে ৷
আরও পড়ুন: বিরাট-রাহুলের যুগলবন্দিতে ‘অজি বধ’! বিশ্বকাপে শুভ সূচনা ভারতের