কলকাতা, 23 জুন : ছাত্রের শরীরীভাষায় সাফল্যের ছবি দেখেছিলেন বদরুদ্দিন । ক্রিকেট মহল তাঁকে মহম্মদ শামির কোচ হিসেবে চেনে । দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও শামির গুরুর গলায় আনন্দ ও গর্বের ছোঁয়া । শেষ ওভারে 16 রান তুলতে হবে আফগানিস্তানকে, এই অবস্থায় বল নিয়ে দৌড় শুরু করেছিলেন মহম্মদ শামি । ফর্মে থাকা মহম্মদ নবি প্রথম বলটি বাউন্ডারিতে পাঠালেও তৃতীয় বলে লং অনে ধরা পড়েছিলেন । পরবর্তী দুটো বলে আফতাব আলম ও মুজিব উর রহমান আউট হতেই শামি দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব অর্জন করেন । "আফতাব আলমের উইকেটটা নেওয়ার পরে আমার মতো হয়ত দেশের মানুষও শামির হ্যাটট্রিক চেয়েছিল । ইয়র্কার দিলেই উইকেট আসবে মনে হয়েছিল আমার । শামিও দেখলাম সেটাই করল । টেলিপ্যাথি বলতে পারেন," ফোনে বলছিলেন বদরুদ্দিন ।
তারকা ছাত্রের বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক খুশি করেছে। ম্যাচের প্রথম বল থেকে ছাত্রের ইতিবাচক শরীরীভাষা দেখে তৃপ্ত হয়েছেন । পুরো ভারতীয় দলের শরীরীভাষা দেখে আশার আলো দেখছেন । বদরুদ্দিন বলেন, "মাঝের সময়টা শামির খুব খারাপ গিয়েছে । ব্যক্তিগত সমস্যায় খেলায় মনসংযোগ করতে পারছিল না । আসলে পরিবারের সমস্যাই মানসিকভাবে বদলে দিয়েছে । এখন শামি অনেক বেশি ফোকাসড্ । বিশ্বকাপে ভালো বল করাই ওর একমাত্র লক্ষ্য ।"