কলকাতা : এর আগে 'সঙ্গীত পিয়াসী' আয়োজন করেছে সঙ্গীতের ৪১টি অনুষ্ঠান, যার মধ্যে ৫টি ছিল বেশ বড় মাপের। চলেছিল ৩-৮ দিন। ৭৮ জন অনবদ্য প্রতিভাবান শিল্পীকে দিয়েছে বৃত্তি। ৩৬জনকে দিয়েছে সান্ত্বনা পুরস্কার। এই পর্যন্ত ২৯জন সঙ্গীতজ্ঞকে সম্মান জ্ঞাপন করেছে 'সঙ্গীত পিয়াসী'। তারা মনে করে, শুধু সঙ্গীতজ্ঞরাই নন, সঙ্গীতের এই বিরাট কর্মযজ্ঞে সমান সম্মানের দাবিদার বাদ্যযন্ত্র কারিগর এবং শব্দযন্ত্র প্রদানকারীরা। তাই তাঁদেরও সম্মান জ্ঞাপন করেছে সঙ্গীত পিয়াসী। এই পর্যন্ত ৬জন অসামান্য বাদ্যযন্ত্র কারিগর এবং শব্দযন্ত্র প্রদানকারীকে সম্মান দিয়েছে তারা। যেসব সঙ্গীতশিল্পী নিত্যদিন অর্থনৈতিক অনটনের শিকার, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। মানুষকে সামনে এনেছে নতুন প্রতিভা। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় এবং বিদেশেও আয়োজন করেছে সংগীত অনুষ্ঠানের।
বিগত ২৭ বছরের মতো এই বছরও, সঙ্গীত পিয়াসী আয়োজন করছে তাঁদের বহু প্রতীক্ষিত সঙ্গীত রজনীর। ১৬-১৭ অগাস্ট, এই দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত পণ্ডিত অরুণ ভাদুড়ীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে, যিনি ছিলেন 'সঙ্গীত পিয়াসী'-র একজন অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে দক্ষিণ কলকাতার উত্তম মঞ্চে।
এই বছরের বৈশিষ্ট্য বা আকর্ষণ হল এই যে, এবার মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন কেবল মহিলারাই। এর আগে এরকম কলকাতার কোনও মঞ্চে কিংবা ভারতের কোনও মঞ্চে ঘটেনি। সারা রাত ধরে চলবে অনুষ্ঠান। উদ্দেশ্য একটাই, অনুষ্ঠানের থেকে উপার্জিত অর্থ বৃত্তির খাতে খরচ করা।