কলকাতা : 'জয় বাবা লোকনাথ' ধারাবাহিকে লোকনাথ বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিল শিশুশিল্পী অরণ্য । তাঁর অভিনয় দর্শকের এতটাই ভালো লাগে, যে এবার একটি বাংলা ছবি তৈরি হচ্ছে লোকনাথ বাবার ছোটোবেলাকে কেন্দ্র করে । ছবির নাম 'মহাযোগী লোকনাথ'। লকডাউনের আগে ছবির সিংহভাগই শুটিং হয়ে গিয়েছিল । 3-4 দিনের শুটিং বাকি ছিল । আজ থেকে NT1 স্টুডিয়োতে ফের শুরু হওয়ার কথা ছিল এই ছবির শুটিং । তবে, সেই শুটিং বন্ধ রাখতে হয়েছে পরিচালক প্রান্তিক গায়েনকে । তার প্রধান কারণ, জীবনবিমা পলিসির নম্বর না আসা । তবে সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েই শুটিং ফ্লোরে ফেরার কথা ছিল তাঁদের ।
জীবনবিমার পলিসি নম্বর না আসায় মহাফাঁপরে 'মহাযোগী লোকনাথ' - policy number
আজ থেকে NT1 স্টুডিয়োতে ফের শুরু হওয়ার কথা ছিল 'মহাযোগী লোকনাথ' শুটিং । তবে, জীবনবিমা পলিসির নম্বর না আসায় সেই শুটিং বন্ধ রাখতে হয়েছে পরিচালক প্রান্তিক গায়েনকে ।
গতকাল সকাল পর্যন্ত 'মহাযোগী লোকনাথ'-এর টিম জানত, 31 জুলাই টালিগঞ্জের NT1 স্টুডিয়োতে শুটিং শুরু করবেন তাঁরা । সব নিয়ম-নীতি মেনেই ফ্লোরে ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা । এদিকে শুটিং ফ্লোরে ফেরানোর জন্য প্রত্যেক কলাকুশলী এবং টেকনিশিয়নদের জীবনবিমা করানোর ব্যবস্থা করার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট প্রযোজনা সংস্থার । 'মহাযোগী লোকনাথ' সেই নিয়মের বাইরে হাঁটেনি, জানালেন ছবির পরিচালক । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যে কটা দিনই শুটিং হোক না কেন, জীবনবিমা করানোর বিষয়টি ফেডারেশন, আর্টিস্ট ফোরাম এবং সকলের মিলিত আলোচনায় থেকে ঠিক করা হয় । এটাই নিয়ম বলে আমরা জেনে এসেছি । এবং সেটা আমরা প্রত্যেকে মানতে বাধ্য । তবে বিমা করার পরও, পলিসি নম্বর আসেনি বলে শুটিং করার অনুমতি পাইনি আমরা । ওদের একটাই বক্তব্য, পলিসি নম্বর না এলে, শুটিং করার অনুমতি পাওয়া যাবে না ।"
তবে প্রান্তিকের দাবি, অনেক হাউজ় আছে যাদের জীবনবিমা করানো হলেও পলিসি নম্বর এসে পৌঁছয়নি । এই পলিসি নম্বর আসতে গেলে ন্যূনতম 20-22 দিন সময় লাগে । তাই তাঁর মতে, "এই সময়টা সকলকে দিতে হয় । আমার ছবির যে মূল চরিত্র, ছোটো বয়সের লোকনাথ, অর্থাৎ অরণ্য, তার দিনদিন দৈহিক পরিবর্তন হচ্ছে । আমি শেষ শুটিং করেছি সেই ফেব্রুয়ারি মাসে । তখন ওর যে চেহারা ছিল, জুলাই মাসে শুট করতে গিয়ে দেখি ওর চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে । আমার নোটিশে এই কথাটা উল্লেখ করেছিলাম, যাতে আমাকে অনুমতি দেওয়া হয় । সেই অনুমতি আসেনি বলে, খুব হতাশ হয়ে পড়েছি । অন্যদেরকে কেন এই ছাড় দেওয়া হল, আমাকে কেন আটকানো হল, এই বিষয়টা বুঝতে পারছি না । আমরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে রয়েছি । পলিসি নম্বর এলেই হয়তো শুটিং করার অনুমতি পাব ।" গতকাল এই বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশনের সঙ্গেও কথা বলেছে ডিরেক্টরস গিল্ড ।