সমরকন্দ (উজবেকিস্তান), 16 সেপ্টেম্বর: সোশ্য়াল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ৷ যার নেপথ্য়ে রয়েছে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো (Viral Video) ৷ সেই ভিডিয়োয় শেহবাজের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) ৷ তাঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগেই বেজায় বিপাকে পড়েন শেহবাজ ৷ ইয়ারফোন ব্যবহার করতে গিয়ে রীতিমতো নাকানিচোবানি খান তিনি ৷ পাক প্রধানমন্ত্রীকে সাহায্য়ের জন্য এগিয়ে আসেন কর্তব্যরত এক কর্মী ৷ তাতেই মেটে সমস্যা ৷
ঠিক কী ঘটেছিল ? আসলে উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরকন্দে (Samarkand) শেহবাজ শরিফ এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (Shanghai Cooperation Organisation) বা এসসিও সম্মেলনের (SCO Summit) আওতায় এই বৈঠকের বন্দোবস্ত করা হয় ৷ সেখানেই ঘটে শেহবাজের হেডফোন বা ইয়ারফোন বিভ্রাট ! পরবর্তীতে সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো প্রকাশ করে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ (RIA) ৷ তাতে দেখা যায়, শেহবাজের 'ভোগান্তি' দেখে মৃদু হাসির রেশ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখেও !
আরও পড়ুন:আজ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা শেহবাজের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই (PTI)-এর তরফেও সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে ৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, হেডফোন লাগাতে না পেরে কর্তব্যরত এক কর্মীর কাছে সাহায্য চাইছেন শেহবাজ ৷ সেই ব্যক্তির সহযোগিতাতেই শেষ পর্যন্ত সমস্য়া মেটে ৷ পিটিআই এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে শেহবাজকে পাকিস্তানের জন্য 'লাগাতার বিব্রত' হওয়ার কারণ বলে উল্লেখ করে !
অন্যদিকে, পাক ন্য়াশনাল অ্য়াসেম্বলির প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার তথা বেলুচিস্তানে পিটিআই-এর প্রদেশ সভাপতি কাসিম খান সুরি (Qasim Khan Suri) একটি ছবি পোস্ট করেন ৷ তাতে উজবেকিস্তানে পাক প্রতিনিধিদলের অনেকেই রয়েছেন ৷ তার মধ্য়ে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, অর্থ মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ৷ সেই ছবির ক্যাপশনে কাসিম লিখেছেন, "ভিক্ষুকের মতো অলস হয়ে বসে আছেন" ৷
কাসিমের এই সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টের আগেই শেহবাজ শরিফ একটি টুইট করেছিলেন ৷ তাতে তিনি লিখেছিলেন, "সমরকন্দের এই দিনটি ছিল দীর্ঘ এবং কার্যকরী ৷ আমাদের বন্ধু দেশগুলির নেতাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে আমরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে সহমত হয়েছি ৷ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বন্য়ায় যে ক্ষতি হয়েছে, আমি তার ব্যাখ্যা করেছি ৷ উন্নয়নের পথে খাদ্য এবং শক্তিসম্পদের অভাব আমাদের সামনে বড় বাধা তৈরি করছে ৷"