ইসলামাবাদ, 10 এপ্রিল : দিন গড়িয়ে রাত এবং রাত গড়িয়ে পরের দিন পর্যন্ত চলল নাটক ৷ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী 'শেষ বল' পর্যন্ত লড়ে গেলেন ৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না ৷ মধ্যরাতে পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটিতে ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবির 174 টি ভোট দেয় ৷ তারপরই যবনিকা পতন হল তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারের ৷ গদিচ্যুত হলেন ইমরান খান ৷ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে গদি ছাড়লেন (Imran Khan ousted in no confidence vote in Pakistan National Assembly) ৷
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অনাস্থা ভোট :
- সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন শুরু করেন স্পিকার আসাদ কাইজ়ার (Asad Qaiser) ৷ যাঁকে কেন্দ্র করে এত জলঘোলা, সেই খানসাহেব কিন্তু আসেননি অ্যাসেম্বলিতে, মুখোমুখি হননি বিরোধীদের ৷
- অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিরোধী দলনেতা শেহবাজ় শরিফ এবং বিদেশ মন্ত্রী মেহমুদ কুরেশির মধ্যে কথোপকথন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকিস্তানের সংসদ ৷ দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সংসদ মুলতুবি ঘোষণা করেন স্পিকার ৷
- সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি অনাস্থা ভোট ৷ দুপুর 3টে নাগাদ ফের অধিবেশন আরম্ভ করেন ইমরান খানের বিশ্বস্ত আসাদ ৷ অনাস্থা ভোট আরম্ভ হবে রাত 8টা নাগাদ, জানান স্পিকার ৷
- এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ৷ আসাদ কাইজ়ার গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন ৷ তাই 8টার বদলে সাড়ে ন'টা নাগাদ ফের সংসদে অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা যায় ৷
আরও পড়ুন : Next Pak PM : তখত-চ্যুত ইমরান, গদিতে বসতে তৈরি শেহবাজ় শরিফ
- শেষমেশ সেই সময় গড়িয়ে রাত 11.45 মিনিট নাগাদ স্পিকার আসাদ কাইজ়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে জানান, তাঁর পক্ষে এই প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয় ৷ তিনি পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নাওয়াজ়-এর সদস্য আয়াজ় সাদিককে অনাস্থা ভোট পরিচালনার জন্য মনোনীত করে স্পিকারের আসন থেকে নেমে যান ৷ এবার অন্তত অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত সদস্যরা আশা করেন, অনাস্থা ভোট প্রক্রিয়া হবে ৷
- পরের দিন অর্থাৎ 10 এপ্রিলের কয়েক মিনিট আগে অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷ কিন্তু স্পিকার আয়াজ় সাদিককে 2 মিনিটের জন্য বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করতে হয় ৷
- 9 এপ্রিলের পরিবর্তে 10 এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের সূচনা হয় ৷ অ্যাসেম্বলির 342টি আসনের মধ্যে 174 জন খান সাহেবের বিরুদ্ধে ভোট দেন ৷
- এদিকে হার নিশ্চিত বুঝে অনাস্থা ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে চলে যান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf) প্রধান ইমরান খান ৷
প্রধানমন্ত্রী ইমরানের শেষ কয়েক ঘণ্টা