ইস্তানবুল (তুরস্ক), 6 ফেব্রুয়ারি : ইস্তানবুলের সাবিহাগোকেন বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে রানওয়ে থেকে পিছলে গেল বিমান ৷ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তিন যাত্রী ৷ আহত কমপক্ষে 120 জন ৷ ভারতীয় সময় বুধবার রাত ন'টা নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷
171 জন যাত্রী ও 6 জন বিমানকর্মী নিয়ে পেগাসাস উড়ান সংস্থার বোয়িং 737 বিমানটি তুরস্কের ইজ়মির থেকে ইস্তানবুলে আসছিল ৷ রানওয়েতে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই পিছলে যায় বিমানটি ৷ আগুন ধরে যায় সেখানে ৷ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি তিনভাগে ভেঙে যায় ৷ ভাঙা বিমান থেকে দ্রুত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই রানওয়েতে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমানটি ৷ সংবাদসংস্থা AFP-র তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তুরস্কের সরকার ৷
আরও পড়ুন : 83 জন যাত্রী নিয়ে গজনিতে ভেঙে পড়ল বিমান
দুর্ঘটনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাবিহা গোকেন বিমানবন্দর ৷ ওই বিমানবন্দরের সমস্ত বিমানের যাত্রাপথ পরিবর্তন করে ইস্তানবুলের মূল বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে ৷ তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী মেহমেত কাহিত তুরহান জানিয়েছেন, "কিছু যাত্রী এখনও বিমানের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৷ তাদেরকে উদ্ধার করার কাজ চলছে ৷" স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের প্রকাশ বিমানটিতে 12 টি শিশুও ছিল ৷ তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলি আরও জানিয়েছে দুর্ঘটনায় দুই বিমানচালকসহ এক স্থানীয় নাগরিক ও দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক গুরুতরভাবে আহত হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : কাজাখস্তানে 100 আরোহীসহ ভেঙে পড়ল বিমান, নিহত বহু
এক মাস আগেই 7 জানুয়ারি পেগাসাস উড়ান সংস্থার অন্য একটি বিমান এই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে গেছিল ৷ এর আগেও 2018 সালের জানুয়ারিতে 168 জন যাত্রীসহ পেগাসাস উড়়ান সংস্থার বোয়িং 737-800 বিমান তুরস্কের ট্রাবজ়ন বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে বিচ্যুত হয়েছিল ৷ পেগাসাস উড়ানসংস্থার বর্তমানে 97 টি রুটে বিমান চলাচল করে, যার মালিকানার সিংহভাগ রয়েছে সেভকেট সাবাঙ্কি ও তাঁর পরিবারের হাতে ৷ একের পর এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উড়ান সংস্থার সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ ৷