জলপাইগুড়ি/কল্যাণী, 16 নভেম্বর: মহম্মদ শামির বলে ছন্দ কাটল লগ্নজিতার ৷ সেমিফাইনাল খেলার মাঝে দর্শকদের মন না-পেয়ে বেজায় চটলেন গায়িকা ৷ অন্যদিকে, খেলার আবহেই নচিকেতা-ম্যাজিকে মুগ্ধ হলেন দর্শকরা ৷ 30 বছরের সঙ্গীত জীবনে দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা যে এখনও অটুট, বোঝালেন 'আগুন পাখি' ৷
বুধবার ছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ ৷ আবার এই দিনেই জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ের মাঠে যুব ঐক্যের কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন লগ্নজিতা চক্রবর্তী। বেশ কিছুক্ষণ গান চলার পরেই ঘটে ছন্দপতন ৷ উপস্থিত শ্রোতারা অনুষ্ঠানের মাঝেই চোখ রাখেন মোবাইল স্ক্রিনে ৷ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের উইকেট পড়তেই 'আউট-আউট' করে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা ৷ বিষয়টি বুঝতে পেরে গান থামিয়ে দেন শিল্পী। বলেই বসলেন, "ভারত কি জিতে গিয়েছে?" এরপরেই বিরক্ত হয়ে মাঝপথে গান বন্ধ করে দেন 'বসন্ত এসে গেছে'-র গায়িকা ৷
চটে গিয়ে তিনি বলেন, "ইন্ডিয়া জিতে গিয়েছে। এবার অন্তত প্রোগ্রামে মন দিন। তোমরা যারা খেলা দেখছ কোনওভাবেই প্রোগ্রামে মন দিতে পারছ না। এখন আমি পর পর নম্বর ওয়ান গান গেয়ে যাব। তাতেও যদি মন না-পাওয়া যায় তাহলে স্টেজ থেকে নেমে চলে যাব। এরপর থেকে উদ্যোক্তাদের বলব খেলার দিন অন্তত যেন এমন অনুষ্ঠান না-করা হয়। এতে সমস্যা হয়ে যায়। আর আমিও খেলার মাঝে অনুষ্ঠান কীভাবে করতে হয় পরবর্তী সময়ে শিখে আসব।" এই বিষয়ে শিল্পীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উত্তর মেলেনি ৷
যুব ঐক্যের সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় লগ্নজিতা মঞ্চ ছেড়ে নেমে যাবার পর দর্শকদের উদ্দেশ্যে জানান, লগ্নজিতা বড় মাপের শিল্পী ঠিকই। কিন্তু খেলাটাও আমাদের কাছে অনেক বড়। এরপর ফাইনালের দিন আমি শহরের চারটি জায়গায় বড় স্ক্রিনে ফাইনাল খেলা দেখার ব্যবস্থা করব।
অন্যদিকে, সেমিফাইনালের উত্তাপ পড়ল না সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতার আসরে ৷ সগুনা লিচুতলা এলাকার অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তারা একটু সন্দিহান ছিলেন খেলা ছেড়ে আদৌ মানুষের ভিড় হবে কি না, এই ভেবে ৷ কিন্তু যখন ম্যাজিকের নাম নচিকেতা তখন মাঠ ভর্তি হতে খুব বেশি সময় লাগেনি ৷ কল্যাণীর সগুনা 2 নম্বর লিচুতলা ময়দানে অনুষ্ঠানে ছিলেন নচিকেতা চক্রবর্তী। গোটা মাঠ কানায় কানায় ভর্তি ছিল।