পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / elections

মমতা হার স্বীকার করে নিয়েছেন : যোগী - দীপাঞ্জন গুহ

মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি নির্বাচনে হেরে যাবেন ৷ সেই কারণেই দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রামের একটি বুথে দু’ঘণ্টা ধরে বসে ছিলেন তিনি ৷ রবিবার হুগলির চন্দননগরের সভামঞ্চ থেকে এই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ ৷

bengal election 2021_wb_hgl_chandannagar jogi_7203418
মমতা হার স্বীকার করে নিয়েছেন, দাবি আদিত্যনাথের

By

Published : Apr 4, 2021, 9:23 PM IST

চন্দননগর, 4 এপ্রিল : মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় তাঁর হার স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ এমনই দাবি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ৷ রবিবার হুগলির চন্দননগর কুঠির মাঠে বিজেপি প্রার্থী দীপাঞ্জন গুহের সমর্থনে সভা করেন তিনি ৷ সভামঞ্চে আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামের নির্বাচনে আপনারা সকলেই দেখেছেন, একটা বুথে দু'ঘণ্টা ধরে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীতেও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার, তিনি একটা বুথে দু'ঘণ্টা বসা মানে হার স্বীকার করা ছাড়া আর কিছুই নয়। সততার সঙ্গে হার স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেটাই ভালোই ৷’’

আদিত্যনাথের অভিযোগ, তৃণমূল বুঝতে পেরেছে তারা হেরে যাবে ৷ সেই কারণেই মাঝমধ্যে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলছে ৷ এটাই তৃণমূলের স্বভাব বলে বার্তা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা যখন কিছু পান না, তখনই ইভিএমের উপর রাগ দেখান ৷ যখন এই ইভিএমে লড়েই ওঁরা জিতে যান, তখন ইভিএম ভগবান হয়ে যায় ৷ আর যখন তাঁদের কৃতকর্মের জন্য হেরে যান, তখন ইভিএমের উপর রাগ দেখান ৷ গালিগালাজ করেন ৷’’

যোগী আদিত্যনাথের দাবি, বাম এবং তৃণমূল বাংলায় শিল্প, বাণিজ্য স্তব্ধ করে দিয়েছে ৷ দুর্নীতিকে সংস্থার রূপ দেওয়া হয়েছে ৷ উন্নয়নকে বাধা দেওয়া হয়েছে ৷ এই রাজনৈতিক দলগুলি বাংলার শিল্প ও বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কুঠারাঘাত করেছে ৷ বাংলার যুবকদের বেকার তৈরি করেছে ৷ বাংলার ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের তাড়িয়েছে ৷ মহিলাদের সুরক্ষার সমস্যা তৈরি করেছে ৷ কিন্তু বিজেপির সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতি বদলে যাবে ৷

চন্দননগরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এলেন যোগী আদিত্যনাথ ৷

আরও পড়ুন :ফলতা থেকে ‘সোনার বাংলা’ তৈরির ডাক যোগী আদিত্যনাথের

পশ্চিমবঙ্গে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, মাত্র চার বছরের মধ্যেই ভাগ্য বদলে গিয়েছে তাঁর রাজ্য়ের ৷ সেখানে এখন আর গুন্ডামি হয় না ৷ গুন্ডারা হয় জেলের মধ্যে আছে, আর তা না হলে পালিয়ে গিয়েছে ৷ যোগীর হুঁশিয়ারি, ‘‘এবার বাংলার তৃণমূলের গুন্ডারা কোথায় যাবে, তা তারাই ঠিক করুক ৷ কারণ, বাংলায় বিজেপির সরকার আসবে ৷ আর গুন্ডাদের তাদের অপরাধের সাজা দেওয়া হবে।’’

ABOUT THE AUTHOR

...view details