শিলিগুড়ি, 25 জুন: কোরোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবারকে না জানিয়ে দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে । পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা । ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে শিলিগুড়িতে ৷
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য দাবি করলেন, "রোগী ভরতির সময়ে যে ফোন নম্বর হাসপাতালে দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বরে রোগী মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল । "
যদিও দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পূন্যম বালম বলেন, "এবার থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফেও পৃথকভাবে রোগীর পরিবারকে খবর দেওয়া হবে । "
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌরনিগমের 17 নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা গত 19 জুন শিলিগুড়ির কোরোনা চিকিৎসাকেন্দ্রে ভরতি হয় ৷ 22 জুন ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় । রোগীর পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন রাতেই দেহ দাহ করে প্রশাসন । অথচ, পরিবারকে তা জানানো হয় পরদিন, অর্থাৎ 23 জুন সকালে । ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছে পরিবারটি ।
আজ এই প্রসঙ্গে OSD সুশান্ত রায় বলেন, "কোথাও সমন্বয়ের অভাব হয়েছিল কিনা খতিয়ে দেখছি । "
মন্ত্রী গৌতম দেবের মন্তব্য, "আমার পাড়াতেই ঘটনা ঘটেছে । জেলাশাসককে খোঁজ নিতে বলেছি । নিজেও ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি । সমন্বয়ের অভাবেই ঘটে থাকতে পারে ।"