মালদা, 28 জুলাই:ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক পরিযায়ী শ্রমিকের উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে । 19 জুলাই থেকে ওই শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা । এ নিয়ে উৎকণ্ঠাও ছড়িয়েছে তাঁদের মধ্যে । এখনও তাঁরা স্থানীয় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও বিষয়টি জানিয়েছেন ভিনরাজ্যের থানায় ।
ওই শ্রমিকের নাম মাসুম আলি । বয়স 23 বছর । বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-1 নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা গ্রামে । তিনি দীর্ঘদিন ধরেই রাজস্থানের জয়পুরে একটি হোটেলে রান্নার কাজ করেন । চার মাস আগে বাড়ি থেকে সেই হোটেলে কাজ করতে গিয়েছেন । সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছেন তিনি । তাঁর বাবা শেখ মুস্তাকিম পেশায় কৃষিজীবী । মাসুম তাঁদের একমাত্র ছেলে । বছর তিনেক আগে ছেলের বিয়ে দিয়েছেন । মাসুমের চার মাসের একটি মেয়েও রয়েছে । স্বামীর কোনও খোঁজ না-পেয়ে গভীর চিন্তায় স্ত্রী মুকলেসা(Malda resident Migrant worker missing on his way home from Jaipur) ।
মুকলেসা বলেন, "19 জুলাই সকাল 11টায় স্বামীর সঙ্গে আমার শেষ কথা হয় । বলেছিল, বৃহস্পতিবার গাড়িতে উঠবে । রাত 10টা নাগাদ আমার শ্বশুরের সঙ্গেও স্বামীর কথা হয় । রাত একটার সময় তাঁর এক সহকর্মী ফোন করে জানায়, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । ঘরে স্বামীর ব্যাগপত্রও নেই । তারপর থেকে তাঁর ফোন সুইচ অফ । আমার ধারণা, রাস্তাতেই স্বামীর কিছু হয়েছে । তাঁকে নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় রয়েছি । গোটা ঘটনা জয়পুরের স্থানীয় থানায় জানানো হয়েছে । কিন্তু আমার স্বামীর আর কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না ।"
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ মালদার পরিযায়ী শ্রমিক আরও পড়ুন:স্বামীর মদ ও নারী আসক্তি! প্রতিবাদ করায় অন্তঃসত্ত্বাকে খুনের অভিযোগ
শেখ মুস্তাকিম বলেন, "মাসুম আমার একমাত্র ছেলে । জয়পুরের হোটেলে রান্না করত । কুরবানি ইদের আগে ওকে বাড়ি আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তখন ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছিল না । ফোন করে আমাকে জানায়, ও বাড়ি ফিরছে । কিন্তু তারপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না । ছেলের সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা হয়েছিল বলে জানি না । তাঁর সহকর্মীরাও তাঁকে নিয়ে খুব চিন্তায় আছে । জয়পুরের স্থানীয় থানায় গোটা বিষয়টি জানিয়েছি । কিন্তু পুলিশ এখনও ছেলের কোনও সন্ধান দিতে পারেনি । তাঁকে নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তা হচ্ছে । ঘরে সবাই কান্নাকাটি শুরু করেছে । ছেলের যে কী হল, বুঝকে পারছি না ।"