পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

লকডাউনে রক্ত দিয়ে রোগীকে বাঁচালেন BSF জওয়ান - ব্লাড ব্যাঙ্ক

বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল চাঁচল 1 ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জাহিরুদ্দিন শেখকে৷ রক্ত দিয়ে তাঁকে বাঁচালেন এক BSF জওয়ান ।

BSF jawan
BSF জওয়ান

By

Published : Apr 2, 2020, 11:46 PM IST

মালদা, 2 এপ্রিল : লকডাউনের বাজারে জেলার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির ভাঁড়ার শূন্য৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল জেলায় দুটি শিবির আয়োজন করে প্রায় 200 ইউনিট রক্তের জোগান দেয় পুলিশ৷ কিন্তু তাতে ছিল না AB পজ়িটিভ গ্রুপের কোনও রক্ত৷ এদিকে আজই ওই গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন পড়ে যায় এক বয়স্ক রোগীর৷ এই অবস্থায় নিজের রক্ত দিয়ে ওই ব্যক্তির জীবনদান করলেন এক আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান ৷ চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ধরা পড়েছে এই ছবি ৷

কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় গত মঙ্গলবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল চাঁচল 1 ব্লকের মকদমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা জাহিরুদ্দিন শেখকে৷ 52 বছরের জাহিরুদ্দিনের সবচেয়ে বড় সমস্যা রক্তাল্পতা ৷ তার জন্যই তাঁর একাধিক অঙ্গে সমস্যা দেখা দেয় ৷ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, সবার আগে তাঁর রক্তের প্রয়োজন ৷ জাহিরুদ্দিন সাহেবের রক্তের গ্রুপ AB পজ়িটিভ৷ কিন্তু ব্লাড ব্যাঙ্কে ওই গ্রুপের কোনও রক্ত নেই৷ এরপর পরিবারের লোকজন ওই গ্রুপের রক্তের খোঁজ করেন ৷ কিন্তু কোথাও সেই গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়নি ৷ শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হয় ৷ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি আগেই জানত, চাঁচল এলাকার থাহাঘাটি গ্রামের এক বাসিন্দা রনি জামানের রক্তের গ্রুপ AB পজ়িটিভ৷ কিন্তু রনি BSF জওয়ান৷ তিনি বাড়িতে রয়েছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল সবার ৷ সৌভাগ্যবশত এই মুহূর্তে রনি ছুটিতে বাড়িতেই রয়েছেন৷ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন৷ দেন রক্ত ৷

রনি বর্তমানে মালদার নারায়ণপুর BSF ক্যাম্পে কর্মরত৷ সম্প্রতি তিনি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন৷ তারই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেননি৷ তিনি বলেন, “একবছর আগে আমি রাজস্থানে কর্মরত ছিলাম৷ সেই সময় আমার আম্মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাঁর রক্তের প্রয়োজন পড়ে৷ সেই সময় আমি এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলাম৷ সংস্থার সদস্যরা রক্ত জোগাড় করে আমার আম্মাকে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন৷ তাই যখন ওই সংস্থার সদস্যদের ফোনে বিষয়টি জানতে পারি, তখনই আমি হাসপাতালে চলে আসি৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details