নয়াদিল্লি, 9 জুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন জিতিন প্রসাদ ৷ আর তাঁকে দলে নিয়ে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির ৷ একদিকে রাহুল ঘনিষ্ঠ আরও একজন নেতাকে টেনে নেওয়া গেল নিজেদের দিকে ৷ অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্রাহ্মণ নেতাকে গেরুয়া শিবিরের দিকে আনা গেল ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে বিজেপির আসল লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখা ৷ আর সেই লক্ষ্যেই ঘুঁটি সাজাতে জিতিন প্রসাদকে দলে নেওয়া হল ৷ যাতে 2024 সালে উত্তর প্রদেশে ভালো ফল করা যায় ৷
জাতীয় রাজনীতির হালহকিকৎ নিয়ে যাঁরা খবর রাখেন, তাঁদের বক্তব্য হল যে উত্তর প্রদেশ যার, দিল্লি তার - জাতীয় রাজনীতিতে এটা একটা মিথ ৷ উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় থাকলে দিল্লি জয় সহজ হয় ৷ ভারতীয় রাজনীতিতে এটাই বারবার দেখা গিয়েছে ৷ তাই 2022 সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির জয় প্রয়োজন ৷
আরও পড়ুন :উত্তর প্রদেশের ব্রাহ্মণ নেতা জিতিন প্রসাদ বিজেপিতে, ভোটের আগে বড় ধাক্কা কংগ্রেসে
কিন্তু সেক্ষেত্রে সমস্য়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তি ৷ কোভিড থেকে আইনশৃঙ্খলা, নানা বিষয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজেপির এই নেতা ৷ তার উপর তিনি ঠাকুর সম্প্রদায়ের ৷ ফলে উচ্চবর্ণের লোকেরা, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় কিছুটা হলেও যোগীর উপর ক্ষুব্ধ ৷
তাছাড়া বিকাশ দুবেও ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ছিলেন ৷ যাঁকে এনকাউন্টারে মারা হয় ৷ তিনি আদতে গ্যাংস্টার হলেও হিন্দি বলয়ে জাতপাতের বিষয়টি এতটাই চড়ামাত্রার যে এই ঘটনাও বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠছিল ৷