কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি : নির্বাচনের আগেই বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, 2017 সালে বিমল গুরুং-সহ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। এমনও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নবান্নের এই নির্দেশ জেলাশাসক মারফত দার্জিলিঙে থাকা সরকারি আইনজীবীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দার্জিলিং পুলিশকেও একই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সরকারের নির্দেশ মেনে তাঁরা এবার আদালতের কাছে এই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানাবেন।
2017 সালে পাহাড়ে বিমল গুরুঙের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হলে সরকারি দপ্তরে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশকর্মীর হত্যা, দার্জিলিং ও কালিম্পঙের নানা জায়গা বিস্ফোরণ ঘটানো-সহ 70টি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। পাশাপাশি ইউএপিএ ধারাতেও মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন : আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে মোর্চা ও তৃণমূল : গুরুং
সেই সময় থেকেই বিমল গুরুং সহ একাধিক গোর্খার নেতা পলাতক ছিলেন ৷ তারপর 2019 লোকসভা ভোটের আগে দিল্লিতে প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং ৷ তারপর আবারও অন্তরালে চলে যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা ৷ এর 1 বছরের বেশি সময় পর গতবছর অক্টোবর মাসে কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রতি সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন বিমল গুরুং। বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কথা রাখেনি। এই অবস্থায় তাঁরা 2021 এর নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে জয়ী করার জন্য কাজ করবেন। তারপর থেকেই মনে করা হচ্ছিল, ইউএপিএ সহ রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা বিমল গুরুং এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করতে পারে রাজ্য সরকার। সেই সম্ভাবনাকে সত্যি করতে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে রাজ্য প্রশাসন।
যদিও এই নিয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বিশেষ কিছু বলতে চাননি ৷ শুধু বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৷ আমি এনিয়ে কোনও মতামত দেব না।’’ যদিও এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধীরা মনে করছে, শাসক দলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর ফল পাচ্ছেন বিমল গুরুং।