কলকাতা, 12 অগস্ট :75তম স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তোলা হবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে ৷ এই প্রথম সিপিএমের রাজ্য সদর দফতরে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস ৷ এই নিয়ে পার্টির তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে ৷ আর তার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে ৷ এবার এই ইস্যুতে সমালোচকদের জবাব দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতা আন্দোলনে কমিউনিস্টরা কখনওই ব্রাত্য নন । বরং তাঁদের অবদান ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক ।’’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, এই বছরটা স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর । স্বাধীনতার তিনটি মূল ধারা- জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বিপ্লববাদী আন্দোলন ও সংগঠিত গণআন্দোলন ৷ পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি পেশ করেছিল কমিউনিস্ট পার্টি । আন্দামান সেলুলার জেলে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের শিকার কমিউনিস্টরা । শুধু স্বাধীনতা আন্দোলন নয়, স্বাধীনতা লাভের পরে রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে ভাষার ভিত্তিতে শহর, সংবিধানে আইডিয়া অব ইন্ডিয়ার ধারা বজায় রাখার মধ্যে কমিউনিস্টদের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে তিনি জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন :Tathagata-Dilip : পোস্টারে বানান ভুল, দিলীপ ঘোষের ছবি পোস্ট করে ‘মূর্খ’ বলে তোপ তথাগতর
তাঁর বক্তব্য, ‘‘কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র রক্ষায় দাঁড়িয়েছে । আমরা ঠিক করেছি দেশের সব পার্টি অফিসে যেখানে আগে পতাকা উত্তোলন হত বা হত না, সব জায়গায় স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন হবে ৷ স্বাধীনতা দিবস পালন হবে । তাছাড়াও সারা বছর ধরে বিজেপির গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে ৷’’
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন বকেয়া উপনির্বাচন বর্তমান পরিস্থিতিতে সংগঠিত করা যাবে কি না তা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে । 30 অগস্টের মধ্যে তা জানানোর কথা বলা হয়েছে । এই নিয়ে সুজন চক্রবর্তী বলছেন, "রাজ্য তার মতো করে পরিস্থিতি জানিয়ে উত্তর দেবে । বাকি রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মত জানাবে । এটা ঠিক পরিস্থিতি খারাপ বলেই ট্রেন চালু করা যাচ্ছে না, স্কুল কলেজ খোলা যাচ্ছে না । পুরনির্বাচন বকেয়া রয়েছে, উপনির্বাচন করার তোড়জোড় ৷ এই ব্যাখ্যা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে । অনেক রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে । আমাদের দাবি সব নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হোক ।"
আরও পড়ুন :Nandigram Result Case : নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি 15 নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত হাইকোর্টে
আগামী 20 অগস্ট কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । এই আমন্ত্রণে কোনও দোষ দেখছেন না সুজন চক্রবর্তী । তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপি বিরোধী ঐক্য গঠনের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তা যেন ফ্রেডারেল ফ্রন্টের কথা বলে ভেস্তে না যায় ।
সুজনের দাবি, 2019 সালে এই ফ্রেডারেল ফ্রন্ট গঠনের কথা বলে বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছিলেন মমতা । অতীতে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত তৃণমূল নেত্রীর প্রত্যক্ষ মদতে হয়েছিল । এবার জাতীয় পার্টি বিজেপি বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে, আঞ্চলিক দলগুলো তা সমর্থন করার মধ্যে দিয়ে পাশে থাকুক ৷ আর এই বিজেপির বিরোধিতার প্রশ্নে কমিউনিস্টদের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে তিনি মনে করেন না ।
আরও পড়ুন :Covid Restriction : আপাতত বন্ধ লোকাল ট্রেন, রাজ্যে বিধিনিষেধ বাড়ল 15 দিন