কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর : আমাদের অনেক কিছুই প্রয়োজন ৷ কিন্তু, পরিবেশের ক্ষতি করে কোনও কিছুই সম্ভব নয় ৷ জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে এমনটাই পর্যবেক্ষেণ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের ৷ প্রসঙ্গত, জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো প্রকল্পে ময়দান এলাকায় খননের জন্য সেনার কাছে অনুমতি চেয়েছিল কেএমআরসিএল অর্থাৎ, কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড ৷ কিন্তু, সেনা সেই অনুমতি দেয়নি ৷ তার পরেই আরভিএনএল বা রেলওয়ে বিকাশ নিগম কলকাতা হাইকোর্টে খননের অনুমতি একটি মামলা করা হয় ৷
এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কলকাতা মেট্রো রেলের এই মামলাটি ওঠে ৷ সেখানে আরভিএনএলের তরফে বলা হয়, খননের কাজ শুরুর আগে ময়দান এলাকার মাটি পরীক্ষা বা অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির জন্য অন্তত অনুমতি দিক সেনা ৷ কিন্তু, সেনার তরফে আপত্তি থাকায় এখনই অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ প্রধান বিচারপতির ভিডিশন বেঞ্চের এনিয়ে বক্তব্য, পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে ৷ তাই এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার তথা সেনাবাহিনীর বক্তব্য আগে জানা জরুরি ৷ আগামী 10 নভেম্বর কেএমআরসিএলকে গোটা পরিকল্পনা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত রিপোর্ট হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Kolkata Metro Rail: 25 সেপ্টেম্বর থেকে শনি ও রবিবার বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা
আজ মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আরভিএনএলের তরফে আইনজীবী বলেন, ‘‘ময়দান এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ি করলে আদৌ ক্ষতি হতে পারে কি না, তার জন্য আগে মাটি পরীক্ষা করতে হবে ৷ খননের ফলে হওয়া ভাইব্রেশনে ভিক্টোরিয়া বা অন্যান্য নির্মাণের কোনও ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য অন্তত অনুমতি দিক সেনা । এখনই চূড়ান্ত খোঁড়াখুঁড়ি তারা করছে না ৷ এ ব্যাপারে আদালত যদি সম্মতি দেয়, তবেই এগনো হবে ৷’’ তারই জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘অনেক কিছুরই দরকার । কিন্তু, তাড়াহুড়ো করলে হবে না ৷ তাড়াহুড়োর কি আছে ?’’